শেষ আপডেট: 2nd January 2025 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় বার বার অকৃতকার্য হওয়ায় বাবা-মা কলেজ বদল করতে বলছিলেন। রাগে বাবা-মাকেই মেরে দিল কলেজ পড়ুয়া। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহগুলি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগপুরের উৎকর্ষ ধাখোল (২৫) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। বেশ কয়েক বছর ধরে পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারছিলেন না। অকৃতকার্য হওয়ায় কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাঁর বাবা-মা। কেরিয়ারের কথা ভেবেই তাঁকে ইরঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অন্য কলেজে ভর্তি হওয়ার পরার্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তা ভালভাবে নেননি উৎকর্ষ।
২৬ ডিসেম্বর প্রথমে মা অরুণা ধাখোল (৫০)-কে শ্বাসরোধ করে খুন করেন উৎকর্ষ। পরে বিকেল ৫টা নাগাদ বাবা লীলাধর ধাখোল (৫৫) বাড়ি এলে তাঁকেও মেরে ফেলেন। থেঁতলে, কুপিয়ে মারা হয় লীলাধরকে। সেসময় বাড়িতে উৎকর্ষের বোন ছিলেন না।
বোনকে ফোনে উৎকর্ষ জানান, বাবা-মা একটি মেডিটেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু গিয়েছেন তাই তিনি যেন কাকার বাড়িতে চলে যান। ফোনও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। কথা মতো যুবতী তাঁর কাকার বাড়িতে যান। পরে বাড়িতে তালা লাগিয়ে উৎকর্ষও চলে যান সেখানে।
১ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার এলাকায় পচা গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তালা ভেঙে বাড়ি থেকে দম্পতির পচা গলা দেহ উদ্ধার করে। তারপরই তদন্তে নেমে উৎকর্ষকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা শিকার করেন তরুণ। জানা যায়, তাঁর বোন এই খুন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।
স্থানীয়রা জানান, অরুণা ধাখোল পেশায় শিক্ষিকা এবং তাঁর স্বামী লীলাধর পাওয়ার প্ল্যান্টে চাকরি করতেন। দু'জনেই সামাজিক বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন ফলে এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন। উৎকর্ষের কেরিয়ার নিয়ে যে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন, সেবিষয়েও অনেকে জানতেন কিন্তু রাগে উৎকর্ষ এমন কিছু করে ফেলবেন তা ভাবতে পারেননি।
তদন্ত চলছে। এর পিছনে আরও কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।