শেষ আপডেট: 4th November 2024 12:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর! ধর্মবিশ্বাস যখন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে, তখন ...অন্ধ সেজন মারে আর শুধু মরে। তখন স্বাস্থ্যচিন্তাকে ঠেলে ফেলে ভগবানের শ্রীচরণামৃত ভেবে কী খাচ্ছে ভেবেও দেখে না। যেমনটা ঘটেছে বৃন্দাবনের বিখ্যাত বাঁকেবিহারী মন্দিরে। মন্দিরের ভিতরের একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ব্যাপক চর্চা চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে মন্দিরে!
বাঁকেবিহারীর গর্ভগৃহ লাগোয়া একটি দেওয়ালে হাতির মূর্তির গা বেয়ে নেমে আসা চরণামৃত পান করার জন্য ভক্তরা আকুল হয়ে পড়েছেন। তাতেও বা এত চর্চা কীসের? জেনে নেওয়া যাক কেন এই ভিডিও নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে ভক্ত, বিজ্ঞানী, পরিবেশবিদ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।
Serious education is needed 100%
— ZORO (@BroominsKaBaap) November 3, 2024
People are drinking AC water, thinking it is 'Charanamrit' from the feet of God !! pic.twitter.com/bYJTwbvnNK
বাঁকেবিহারী মন্দিরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভক্তরা দেওয়ালের গা বেয়ে নেমে আসা জলের ধারাকে চরণামৃতকে ভক্তিভরে পান করছেন। কেউ কেউ কাগজের গ্লাসে তা সংগ্রহ করছেন, কেউ আঁজলা করে তার মুখে দিচ্ছেন। তার জন্য হাতির মূর্তি খোদিত দেওয়ালের কাছে হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি চলছে।
হাতি-সদৃশ পাইপ বেয়ে নেমে আসা জল যাকে ভক্তরা চরণামৃত ভেবে পান করছেন এবং বাড়ির লোকের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন, তা আসলে এসি থেকে নির্গত জল। যিনি এই ভিডিওটি তুলছেন, তাঁকে ভক্তদের উদ্দেশে বলতেও শোনা যাচ্ছে যে, তাঁরা যাকে চরণামৃত ভাবছেন তা আসলে এসি থেকে পড়া জল। তা সত্ত্বেও এই চরণামৃত সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ছে। কেউ মুখে দিচ্ছেন, কেউ মাথায় দিচ্ছেন। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ লক্ষ ভিউ পেয়ে গিয়েছে।
এই ভিডিও দেখে এক্স-এ কেউ লিখেছেন, অবৈজ্ঞানিক চিন্তাই কুসংস্কার, কল্পনা, ঘৃণা ও বিভাজনকে আশকারা দেয়। গণতন্ত্রের পক্ষে এই মানসিকতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। আরেক নেট নাগরিক লিখেছেন, কেউ এক মুহূর্ত ব্যয় করে একটিবার ভেবে দেখুন কী চলছে ধর্মের নামে! লিভার বিশেষজ্ঞ এক ডাক্তার লিখেছেন, কুলিং এবং এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের জল অত্যন্ত দূষিত। যা থেকে বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ হতে পারে। যার কয়েকটি খুবই প্রাণঘাতী আকারও নিতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মুম্বইয়ের একটি গির্জাতেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেবার জিশু খ্রিস্টের পায়ের তলা থেকে বিন্দু বিন্দু জল চুঁইয়ে পড়তে দেখে ধর্মান্ধ মানুষ তাই সংগ্রহ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, গির্জার একটি নর্দমা বন্ধ হয়ে তা থেকে জল গড়িয়ে পড়ছিল।