শেষ আপডেট: 23 March 2024 13:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে প্রচারে নেমেছে সেনা বাহিনী, এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন জম্মু-কাশ্নীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি। তাঁদের বক্তব্য, এই ধরনের রাজনৈতিক বিষয়ে সেনা বাহিনীর মতামত দেওয়া, প্রচার করার কোনও এক্তিয়ার নেই। জম্মু-কাশ্মীরের মতো স্পর্শকাতর রাজ্যে সেনার এই ভূমিকা ঠিক নয়, বলেছেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি ২০২৩ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে জিজ্ঞাসা শীর্ষক এক আলোচনার আয়োজন করেছে সেনা বাহিনী। ২৬ মার্চ সেটি কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরও লাদাখ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা উপস্থিত থাকবেন। উপস্থিত থাকবেন কাশ্মীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল পিবিএস লাম্বা।
প্রঙ্গগত, নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৯-এ সংবিধানে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে নেয়। সেই থেকে ওই রাজ্যে গোটা দেশের সব আইন বলবৎ হয়েছে। আগে জম্মু-কাশ্মীরে বহিরাগতদের সম্পত্তির মালিক হওয়ার সুযোগ ছিল না। এ ছাড়া রাজ্যের নিজস্ব পতাকা, সঙ্গীত ইত্যাদি চালু ছিল। ছিল পৃথক রেডিও ও টেলিভিশন চ্যালেন।
৩৭০ বাতিল হওয়ার পর এই সুবিধা নিয়ে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মঞ্চ বিজেপি লাগাতার প্রচার চালিয়েছে। ৩৭০ বাতিল হওয়ার পর সেখানে বিধানসভার ভোট হতে যাচ্ছে কয়েক মাসের মধ্যে।
অন্যদিকে, ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির আমূল পরিবর্তন করেছে ভারত সরকার। গত বছরে সংসদে পাশ হওয়া ভারতীয় দণ্ডসংহিতা, ২০২৩ পাশ হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে নয়া দণ্ডসংহিতা চালু হবে দেশে। এই সন্দিক্ষণে সেনা বাহনীর অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ও দণ্ডসংহিতা নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে আলোচনাচক্রের আয়োজন নিয়ে আপত্তি তুলেছেন প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমরের বক্তব্য, এইভাবে সেনা বাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে আনা হচ্ছে। ভারতে সেনা বাহিনী সর্বদা রাজনীতি এড়িয়ে এসেছে। এটা কি সঠিক কাজ হচ্ছে?
জম্মু-কাশ্মীরের আর এক মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতির কথায়, ভারতীয় সেনা পৃথিবীর চতুর্থ শক্তিশালী এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ বাহিনী। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ধর্মকে হাতিয়ার করে সব প্রবিত্র প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করেছ। এবার সেনা বাহিনীও তাদের সেই কর্মসূচির নিশানা হতে যাচ্ছে।