শেষ আপডেট: 29th August 2024 18:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশে মানুষখেকো নেকড়ের তাণ্ডবে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। গত দু'মাসে সাতটি শিশু-সহ আট জন তাদের শিকার হয়েছে। জখম ২২ জনের একজন সাত বছরের ফিরোজ। অন্যজন রাহুল। কী ঘটেছিল ছেলের সঙ্গে সেই রাতে। বীভৎসতার কথা জানালেন মায়েরা।
বাহারআইচ জেলার মাহসি ব্লকের ওই মহিলার কথায়, 'রাতের বেলা একটা মাংসাশী নেকড়ে হানা দেয় বাড়িতে। আচমকা ফিরোজের ঘাড়ে কামড় মেরে চোখের সামনে টানতে টানতে নিয়ে যায়। আমি চিৎকার করে উঠি। সেই চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশিরা। নেকড়ের পেছনে তাড়া দেন। ২০০ মিটার দূরে পৌঁছে নেকড়েটা আমার ছেলেকে আহত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়।' মহিলা জানান, ওই অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ফিরোজকে। ১৩ দিন চিকিৎসার মধ্যে থাকার পর ছেলেকে ফিরে পান তিনি।
অন্যদিকে সাত বছর বয়সী রাহুলের মা এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, এমনই এক আতঙ্কের দিন দেখেছেন তিনিও। এ বছরের গোড়ার দিকে তাঁর ছেলের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটে। বলেন, তিনি আর তাঁর ছেলে শুয়ে ছিলেন। তখনই আক্রমণ করে নেকড়ে। ভাইপোর চিৎকার শুনে ওর কাকা ছুটে এসে বাঁচান। হাসপাতালে আহত রাহুলকে কয়েকদিন চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশ বন দফতর বলছে, তিনটি নেকড়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। যাদের ধরতে ইতিমধ্যেই ২২টি দল গড়েছে। সেই দলে আছেন নিশানায় দক্ষ শিকারি এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞেরা। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বনমন্ত্রী অরুণকুমার সাক্সেনা বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জানিয়েছেন, নেকড়ের দলকে কব্জায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ড্রোন, নাইট ভিশন্স-সহ নানা আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে নজর রাখা হচ্ছে নেকড়েদের ওপর।
এখনও অব্ধি পাওয়া খবর, একটি নেকড়েকে পাকড়াও করা গেছে। পালে রয়েছে আরও দু'টি। কবে এই মানুষখেকোদের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে, বুঝে উঠতে পারছেন না আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।