শেষ আপডেট: 12th November 2024 01:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চলতি বছরে চারধাম যাত্রায় গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে আড়াইশো তীর্থযাত্রীর। সোমবার উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে। সেখানেই এই ভয়াবহ ছবি ফুটে উঠেছে বলে খবর। জানানো হয়েছে এ বছর তীর্থযাত্রায় এসে আর ফিরতে পারেননি ২৪৬ জন।
কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী এবং বদ্রীনাথ—এই চারধামেই চারটি প্রতি বছর শয়ে শয়ে ভক্তের আগমন ঘটে। কিন্তু অনান্য বছরের থেকে এ বছর মৃত্যু হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিশেষত যারা হেলিকপ্টারে চেপে তীর্থ করতে গিয়েছিলেন তাঁদের মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি।
মূলত তিনটি কারণেই এমন পরিণতি বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রথমেই রয়েছে উচ্চতার কারণে অসুস্থতা। সঙ্গে যোগ হয়েছে, অক্সিজেনের ঘাটতি ও হৃদরোগ। হিমালয়ের উচ্চতায় একেই অক্সিজেন কম। তার উপরে শারীরিক সমস্যা চেপে ধরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি বছর হেলিকপ্টারে চেপে তীর্থযাত্রায় যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। কিন্তু চারধামে যেতে বহু মানুষ এই পরিষেবা ব্যবহার করলেও চরম ঠাণ্ডায় শরীর আচমকা খারাপ হওয়াতেই ঘটে যাচ্ছে বিপত্তি। এছাড়া অনেক তীর্থযাত্রী যাদের শারীরিক অবস্থা ভাল না থাকা সত্ত্বেও জোর করে হেলিকপ্টারে ওঠার কারণে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে বলে খবর।
কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী ইতিমধ্যে শীতের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে খোলা রয়েছে বদ্রীনাথ। ১৭ নভেম্বরের মধ্যে ওই তীর্থস্থানও বন্ধ হয়ে যাবে। চারধাম যাত্রা তীর্থযাত্রীদের কাছে পরম পুণ্যের হলেও প্রতিনিয়ত মানুষের স্বাস্থ্যই সেখানে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
সোমবার এমন রিপোর্ট সামনে আসতেই চমকে উঠছে দেশবাসী। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুই কী তীর্থযাত্রীদের সমস্যার কারণেই এমন সমস্যা? প্রশাসন কীভাবে দায় এড়াতে পারে? তাদের উচিত, ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য আরও সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা এবং তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা উন্নত করা।