Date : 13th May, 2025 | Call 1800 452 567 | [email protected]
চারদিনে এক মঞ্চে দু'বার শরদ-অজিত, দুই এনসিপি'র মিশে যাওয়ার জল্পনা মহারাষ্ট্রেসব ধর্ষকের কঠিন সাজা হোক! এই বার্তা দিতেই দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভারত ভ্রমণে বেরিয়েছেন বাবাFake Passport Case: বাংলায় জাল পাসপোর্টের ব্যবসা থেকে পাকিস্তানি আজাদের রোজগার ৫০ কোটি! আদালতে বড় দাবি ইডিরCJI: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না অবসর নিলেন, বুধে দায়িত্ব নেবেন গাভাইজন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার না হলেও স্পিরিটে অস্ট্রেলীয়, কোহলিকে প্রশংসায় ভরালেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচSandeep Patil on Virat's Retirement: ‘বিরাট, রোহিতের অবসরে নতুন করে দল গড়া সহজ হবে’, ভিন্ন সুর শোনা গেল সন্দীপের গলায়তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন 'পদ্মশ্রী' বিজ্ঞানী, কাবেরী নদীতে উদ্ধার ভাসমান দেহ, বাড়ছে রহস্যপর্ন দুনিয়ার স্টার থেকে বলিউড সফর, দত্তক নেন অনাথ শিশুকে, জন্মদিনে অজানা সানিKolkata Airport: কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক, ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াড'পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছি ভারতের দিকে নজর দেওয়ার পরিণাম বিনাশ', পাঞ্জাবের এয়ারবেস থেকে বার্তা মোদীর
Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack

‘মোদীকে গিয়ে বল’, চোখের সামনে স্বামীকে গুলি, স্ত্রীও মুক্তি চাইতেই বলল ঘাতক 

Advertisement

প্রথমটায় বুঝে উঠতে পারেননি পল্লবী। তিনি বলেন, "ভেবেছিলাম কোথাও ড্রিল মেশিন চলছে। অথবা পুলিশ ফায়ার টেস্ট করছে। এরপরেই চোখ যায় অদূরে থাকা আমার স্বামীর দিকে। রাস্তায় পড়ে আছে। চারিদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে।"

‘মোদীকে গিয়ে বল’, চোখের সামনে স্বামীকে গুলি, স্ত্রীও মুক্তি চাইতেই বলল ঘাতক 

জঙ্গি হামলায় মঞ্জুনাথ রাও

Advertisement

শেষ আপডেট: 22 April 2025 21:42

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছুটি কাটাতে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন কর্ণাটকের ব্যবসায়ী মঞ্জুনাথ রাও ও তাঁর পরিবার। সামাজিক মাধ্যম জুড়ে স্ত্রী পল্লবী শেয়ার করছিলেন ডাল লেক বেরানোর ছবিও। কিন্তু মঙ্গলবারের পর থেকেই বদলে গেল সবটা। পহেলগামে জঙ্গী হামলায় (Pahalgam Terror Attack) চোখের সামনেই স্বামী মঞ্জুনাথকে প্রাণ হারাতে দেখতে হল পল্লবীকে। 
 
হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পল্লবী সর্বভারতীয় এক দৈনিককে বলেন, "১৯ এপ্রিল আমরা কাশ্মীরে আসি। কী সুন্দর জায়গা। চুটিয়ে উপভোগ করছিলাম। ছেলের খুব খিদে পেয়েছিল। আমার স্বামী টুকটাক খাবার আনতে গিয়েছিল। আচমকাই গুলির আওয়াজ।" প্রথমটায় বুঝে উঠতে পারেননি পল্লবী। তিনি বলেন, "ভেবেছিলাম কোথাও ড্রিল মেশিন চলছে। অথবা পুলিশ ফায়ার টেস্ট করছে। এরপরেই চোখ যায় অদূরে থাকা আমার স্বামীর দিকে। রাস্তায় পড়ে আছে। চারিদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে।"
কেঁদে ফেলেন পল্লবী। নারকীয় কাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, "চারিদিকে শুধু পালাও পালাও আওয়াজ। বুঝতেই পারছিলাম না কী হচ্ছে। বন্দুকধারী একজনকে বললাম, স্বামীকে মেরেছেন, আমাকেও মারুন। ওদের মধ্যে একজন বলে উঠল, 'তোকে মারব না, মোদীকে গিয়ে বল'। ছেলে ও তিনি প্রাণ বেঁচে গেলেও ঘটনার কথা বলতে গিয়ে বারেবারে কেঁদে ফেলছেন পল্লবী। এমনটা যে হতে পারে তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁর। 
এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি বলেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হয়েছেন কর্নাটকের মানুষও। খবর পেয়েই আমি জরুরি বৈঠকে বসি এবং মুখ্যসচিব ও পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে পাঠিয়েছে দু'টি বিশেষ দল—একটি উচ্চপদস্থ আমলাদের, অন্যটি পুলিশ আধিকারিকদের। পাশাপাশি কর্নাটকের ক্রীড়া দপ্তরের কমিশনার চেতন-এর নেতৃত্বে আর এক টিমও রওনা দিয়েছে। 
 
জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সহযোগী 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' (The resistance Front - TRF) হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দাবি, অ-স্থানীয়দের হাতে উপত্যকার ডোমিসাইল যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই তারা এই হামলা চালিয়েছে। 

Advertisement

Advertisement


ভিডিও স্টোরি