শেষ আপডেট: 23rd July 2024 12:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভার ভোটের ফল এবার বিজেপির পক্ষে আশাপ্রদ হয়নি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দূরের কথা তার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের পদ্ম শিবির। তাই সরকার গঠনে তাদের ভরসা ছিল শরিক দলগুলি। পুরনো ডুবন্ত তরী নবীন পট্টনায়কের বিজেডির বন্ধুত্ব ছেড়ে নতুন সখ্য গড়ে তুলতে হয়েছে একদা শত্রু দল চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টির সঙ্গে। অন্যদিকে, বিহারে ভোলবদলু নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের কাঁধে ভর রেখে তৃতীয় সরকার গঠন করেছেন মোদী। তাই প্রথম থেকেই সংশয় ছিল শরিক দলগুলির মন রাখতে এই সরকার বাজেট বরাদ্দের কতটা খরচ করে।
বাজেটের অনেক আগে থেকেই নীতীশ ও চন্দ্রবাবু মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের রাজ্যের জন্য বরাদ্দের দাবিপত্র দিয়েছেন। আলোচনা করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য যে এই সরকার দরাজ হস্তে বরাদ্দ করবে তা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ করা বাজেট প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিহার ও অন্ধ্রকে চোখের মণি করে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব রাখেন।
তৃতীয় এনডিএ সরকারের দুই শরিক দল বিহারের জেডিইউ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তেলুগু দেশম পার্টিকে খুশি করতে বেশ কয়েকটি আর্থিক প্যাকেজ ও প্রকল্প ঘোষণা করেন নির্মলা। বিহারে চারটি এক্সপ্রেসওয়ে এবং সেতু গঠনে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব আনা হয়েছে বাজেটে। অন্যদিকে, চন্দ্রবাবু নাইডুর অন্ধ্রপ্রদেশকে পুনর্গঠন প্রকল্পের আওতায় আনার প্রস্তাব রেখেছেন নির্মলা। তার জন্য বাজেটে ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব আনা হয়েছে ২০২৫ সালের অর্থবিলে।
এছাড়াও বিহারের পর্যটন ও বন্যা প্রতিরোধে একগুচ্ছ ঘোষণা করেন নির্মলা। কোশী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যে রয়েছে। পর্যটনের মধ্যে কাশী বিশ্বনাথ করিডের ধাঁচে গয়ায় প্রভুপাদ করিডর এবং বুদ্ধগয়ায় একটি করিডর তৈরি ঘোষণা করেন তিনি। এছাড়াও রাজগীর, নালন্দার পর্যটনেও ব্যাপক দরাজ হস্তে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন সীতারামন। একইসঙ্গে হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশার পর্যটনের উন্নয়নেও একগুচ্ছ প্রস্তাব রেখেছেন ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে।