Advertisement
হিমাচলেও নিষ্কৃতি নেই তাপপ্রবাহ থেকে।
Advertisement
শেষ আপডেট: 21 May 2024 19:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতার গরম থেকে বাঁচতে সিমলা-কুলু-মানালি বেড়াতে যাবেন? ব্যাগভর্তি গরম জামা-কাপড় ভরে নিয়েছেন? তাহলে এখনও সময় আছে, ব্যাগ হালকা করে ফেলুন! হি-হি করে কাঁপুনি দূরে থাক, সিমলার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, হিমাচলের প্রদেশের তিনটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত রবিবারই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিমলা কেন্দ্র হিমাচল প্রদেশের সাতটি জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে। বলা হয়েছে, উনা, বিলাসপুর, হামিরপুর, সোলান, সিরমাউর, কাংড়া ও সিমলা জেলায় আগামী ৪ থেকে ৫ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তার কয়েকটি জায়গায় তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। যারা রোদে বেরোন বা কাজ করেন, তাঁদের জন্য তাপপ্রবাহ-সম্পর্কিত অসুস্থতার সতর্কতাও রয়েছে ওই বার্তায়।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের মাপকাঠিতে তাপপ্রবাহ তখনই ধরা হয়, যখন কোনও এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সমতলের ক্ষেত্রে ৪০ ডিগ্রি, উপকূলীয় এলাকায় ৩৭ ডিগ্রি ও পাহাড়ি এলাকায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। ইতিমধ্যেই কাংড়া ও বিলাসপুর জেলায় প্রশাসন স্কুলের সময় পাল্টানোর নির্দেশিকা দিয়েছে। কাংড়ার ডেপুটি কমিশনার বলেছেন, জেলায় সমস্ত স্কুল এখন সাড়ে সাতটা থেকে দুপুর একটা অবধি চলবে। বিলাসপুরেও স্কুল চলবে সকাল আটটা থেকে দুপুর দু'টো অবধি। আজ, মঙ্গলবার থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের জন্যও প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের নয়াদিল্লি দফতরের বিজ্ঞানী চরণ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মুখ্যত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই এটা হচ্ছে। দ্য ওয়ালকে ফোনে বললেন, 'হিমাচলে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়ে থাকে। যে কারণে ওখানে তাপমাত্রা খুব বেশি ওঠে না। কিন্তু এখন যেটা দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ক্রমশই দুর্বল হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির সেই দাপট আর দেখা যাচ্ছে না। উলটে ক্রমশই গরম বাড়ছে। যার ফলে গত কয়েকদিন ধরেই আমরা হিমাচলের বিক্ষিপ্ত এলাকায় তাপপ্রবাহের ঘটনা দেখছিলাম। বিশেষ করে বিলাসপুর ও উনা এলাকায় আগামী কয়েকদিনে তীব্র তাপপ্রবাহ চলতে পারে। আগামী কয়েকদিনে পুবালি বায়ু এলে হয়ত অনেকটাই গরম কমতে পারে।'
প্রশ্ন করা গেল, তাপপ্রবাহের ফলে কি পাল্টা বরফ গলে পরে কোনও হড়পা বানের পরিস্থিতি হতে পারে? আশ্বস্ত করেন চরণ, 'না, এরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপপ্রবাহ মুখ্যত পাহাড়ের নিম্ন ঢালেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। বরফ গলনের মত ঘটনা ঘটে অনেকটাই উঁচুতে। সেখানে অন্তত এমন কোনও প্রভাব পড়ছে না।' পাশাপাশি, তিনি যোগ করেন, 'হিমাচলে আগামীকালের পর হয়ত তাপপ্রবাহের প্রকোপ অনেকটাই কমবে। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন ও হরিদ্বারের দিকে, সমতলে আরও চার-পাঁচদিন থাকতে পারে। উত্তরপ্রদেশের উত্তরে তরাই এলাকায় কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত তাপপ্রবাহ বইতে পারে। কিন্তু বেশি গরম থাকবে দক্ষিণে আগ্রা, বুলন্দশহর, ঝাঁসির দিকে।' বর্ষা আসার ওপরেও এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানান তিনি।
Advertisement
Advertisement