শেষ আপডেট: 7th February 2025 09:06
ভিডিওতে একটি পোস্টারে লেখা ছিল— '(এল) নোহজাং কিপজেন মেমোরিয়াল প্লেগ্রাউন্ড, কে গামনোমফাই।' স্থানীয়দের মতে, গামনোমফাই গ্রামটি ইম্ফল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভিডিওতে খেলোয়াড়দের জার্সির সামনে ‘সানাখাং’ শব্দটি লেখা ছিল এবং এক খেলোয়াড়ের পিঠে ‘গিন্না কিপজেন’ লেখা ছিল, যার জার্সি নম্বর ১৫। পোস্টার অনুযায়ী, ফুটবল ম্যাচটি ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়।
প্রথমে ভিডিওতে বন্দুকধারী খেলোয়াড়দের দৃশ্য ছিল, তবে পরে হ্যানসাং ভিডিওটি মুছে ফেলেন। এরপর তিনি ফুটবল ম্যাচের এডিটেড একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে বন্দুকের দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়। ভিডিওর শেষ অংশে দেখা যায়, গাঢ় সবুজ সামরিক পোশাক ও অস্ত্রধারী (Maniur Weapon) কিছু ব্যক্তি মঞ্চে নাচছেন। তাদের কাঁধের ব্যাজে কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) লোগো দেখা যায়।
দেখুন সেই ভিডিও।
A video showing men armed with assault rifles openly 'playing' football in Manipur's Kangpokpi district has gone viral.
— All India Football (@AllIndiaFtbl) February 6, 2025
What's going on in Manipur ???? pic.twitter.com/MNdkmyxAgc
মনিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়ের মেইতেই হেরিটেজ সোসাইটি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছে, 'এই ফুটবল টুর্নামেন্টের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এতে যে ভয়ংকর বিষয়টি উঠে এসেছে তা হল, খেলোয়াড়দের খোলামেলা অস্ত্র প্রদর্শন। এটি কি সাধারণ ফুটবল ম্যাচ, নাকি কুকি বিদ্রোহীদের টুর্নামেন্ট? আমরা প্রশাসনের কাছে এর যথাযথ তদন্তের দাবি জানাই।'
১৯৮৭ সালে গঠিত কেএনএফ সংগঠনটি ভারত সরকারের ‘সাসপেনশন অব অপারেশনস’ চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী। এই চুক্তির অধীনে কুকি বিদ্রোহীদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে থাকতে হয় এবং তাদের অস্ত্র সংরক্ষিত অবস্থায় রাখতে হয়। তবে, মনিপুর সরকার বহুদিন ধরেই এই চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে, কারণ অভিযোগ রয়েছে যে, এই বিদ্রোহী সংগঠনগুলো মনিপুরের সাম্প্রতিক হিংসায় জড়িত।
অভিযোগ উঠেছে, এই ভিডিও কেবল একটি ফুটবল ম্যাচের অংশ নয়, এটি মনিপুরের দীর্ঘদিনের জাতিগত ও সশস্ত্র সংঘাতেরই প্রতিচ্ছবি, যা ক্রমশই গভীর সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।