শেষ আপডেট: 15th January 2024 14:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার তাঁর ৬৮ তম জন্মদিনে বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী ঘোষণা করলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল বিএসপি এনডিএ বা ইন্ডিয়া, কোনও জোটেই থাকবে না। নির্বাচনের পর ঠিক করবেন বিএসপি কোনও জোটের হাত ধরবে কিনা।
উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজবাদী পার্টির জনভিত্তি এবং সংগঠনের যা অবস্থা তাতে লোকসভা ভোটে ক'টা আসন পাবে তা নিয়েই সংশয় আছে। ফলে ভোটের পর কোনও দল তাঁকে ডাকবে কিনা তা নিয়েই সংশয় আছে। কিন্তু ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দিলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত বছর বিধানসভা ভোটেও একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টিকে বিপাকে ফেলেন। বহু আসন এই দুই দল হারায় বিএসপি প্রার্থীরা ভোট কেটে নেওয়ায়। মায়াবতীর দল জেতে মাত্র দুটি আসনে।
মায়াবতীর জন্মদিনটি তাঁর দল জনকল্যাণ দিবস হিসাবে পালন করছে। দলীয় সূত্রে খবর ছিল, ইন্ডিয়া জোটে বিএসপি থাকবে কিনা সে ব্যাপারে সোমবার অবস্থান স্পষ্ট করবেন দলিত নেত্রী। সেটাই করলেন লখনউয়ের দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে।
এদিকে, সোমবার সকাল সকাল মায়াবতীকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মায়াবতীকে জন্মদিনে যোগীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন নতুন নয়। তবে অতীতে তিনি ফোন করেননি। সমাজ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন মাত্র।
যেমন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা বার্তা পোস্ট করেছেন। যোগীর ফোন করে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পিছনে লোকসভা ভোটের অঙ্ক ছিল বলে চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
আসলে ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সে মায়াবতীর দলকে গোড়ায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবু গত বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার উপনির্বাচনে চারটি আসনের দুটিতে বিএসপি প্রার্থী না দিয়ে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির পাশে ছিল।
মায়াবতীর দলের একাংশ জোটে যোগ দিতে আগ্রহী ছিল বলে খবর। কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আলোচনায়ও চলছিল।
একটি সূত্রের খবর, সনিয়া গান্ধী চেয়েছিলেন, মায়াবতীকে জোটে নেওয়া হোক। কারণ, গত বছর বিধানসভা ভোটে মায়াবতীর দল মাত্র দুটি আসন পেলেও বহু জায়গায় কংগ্রেস ও এসপির ভোটে ভাগ বসিয়েছে।
এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে দলিত নেত্রীকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা ঠিক হবে না, মনে করছিল কংগ্রেসের একাংশ। আর সেই কারণেই বিজেপিও তৎপর ছিল।
অন্যদিকে, পদ্ম শিবির চেয়েছিল, মায়াবতী বিধানসভা ভোটের মতো একাই লড়াই করুন। কোনও জোটে যেন তাঁর দল যোগ না দেয়। অনেকেই মনে করেছেন, শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি এই বিষয়েও তাঁর সঙ্গে কথা হয়ে থাকতে পারে যোগীর। যদিও কোনও শিবির এই জল্পনার বিষয়ে মুখ খোলেনি। মায়াবতী বলেছেন, তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন বলে যে জল্পনা চলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।