মায়ের উপর নির্ভরশীল বলে দাবি করে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রতীকী ছবি।
শেষ আপডেট: 15 May 2025 12:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিবাহিত মেয়েকে ধরে নেওয়া হয় যে, সে স্বামীর ভরণপোষণের উপর নির্ভরশীল। এই যুক্তিতে দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণ দাবি করা মেয়ের আর্জি খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত বলেছে, মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সে বাবা-মায়ের উপর নির্ভরশীল নয়, এটাই ধরে নেওয়া হয়। এই কথা জানিয়ে মায়ের উপর নির্ভরশীল বলে দাবি করে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আদালতের কথায়, মেয়ের যখন বিয়ে হয়ে যায়, যুক্তির খাতিরে ধরে নেওয়া হয় যে, সেই মেয়ে বাপেরবাড়ির সম্পত্তির অধিকারী হতে পারে। একইসঙ্গে এও ধরে নেওয়া হয় যে সে বর্তমানে বিবাহিত মেয়ে আর্থিকভাবে স্বামী বা তার পরিবারের উপর নির্ভরশীল। যতক্ষণ না সে প্রমাণ করতে পারে সে তার বাবা-মায়ের উপর আর্থিকভাবে নির্ভর করে আছে।
বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া এবং কে বিনোদ চন্দ্রনকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, বিবাহিত মেয়েকে বাপেরবাড়ির আইনি অধিকারী বলে মান্যতা হয়। কিন্তু, নিহতের আর্থিক ক্ষতিপূরণের যোগ্য বলে দাবিদার হতে পারে না বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়ে। মেয়েকে প্রমাণ করতে হবে যে সে নিহতের উপর সে আর্থিকভাবে নির্ভর করত। মঞ্জুরী বেরা বনাম ওরিয়েন্টাল ইন্সিওরেন্স কোম্পানির মধ্যে এক মামলায় একথা জানায় শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, আবেদনকারিণীর মা রাজস্থান রাজ্য পরিবহণের একটি বাসের ধাক্কায় মারা যান। তিনি একটি দুচাকা গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি বাস হঠাৎ করে ঘুরে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পিছনে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিমার ৫৪.৩ লক্ষ টাকা দাবি তোলেন ওই মৃতা মহিলার বিবাহিত মেয়ে।
প্রাথমিকভাবে রাজস্থানের মোটর অ্যাকসিডেন্ট ক্লেমস ট্রাইব্যুনাল প্রথম আবেদনকারী মেয়েকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু, হাইকোর্ট মেয়েকে দেওয়া ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। হাইকোর্ট বলেছিল, মেয়ে তার আর্থিক নির্ভরশীলতার কথা প্রমাণ করতে পারেনি। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মৃতার বিবাহিত মেয়ে ও মা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।