ছবিটি প্রতীকি
শেষ আপডেট: 2nd January 2025 00:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের গঢ়ছিরৌলির বিদর্ভ অঞ্চলের ১১ জন মাওবাদী নেতা-নেত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন বুধবার। এই ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন কিষেণজির ভাইয়ের বৌ বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা। তিনি পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির কমান্ডার হিসেবে পরিচিত। তাঁর আত্মসমর্পণ রাজ্যের কাছে বড় জয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদী সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ বা পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির কমান্ডার তথা দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী এই বিমলা গত ৩৮ বছর ধরে সশস্ত্র নকশালপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
১৯৮৩ সিপিআই(এমএল) পিডব্লিউজি-র হাত ধরে 'সশস্ত্র বিপ্লবে' যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সংগঠনের অন্দরে দ্রুত কিষেণজি অর্থাৎ নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাওয়ের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন।
দেড় দশক আগে, ২০১১ সালে বাংলায় যৌথবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কিষেণজির। সেসময় বিমলার স্বামী বেণুগোপাল সংগঠনের প্রথম সারির নেতা।
মহারাষ্ট্র পুলিশ জানাচ্ছে, গঢ়ছিরৌলি-সহ বিভিন্ন জেলায় ও ছত্তীসগড়েও একাধিক নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই নেত্রী। গঢ়ছিরৌলির পুলিশ ফাঁড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১৮ জনকে খুনের পিছনেও তাঁর হাত ছিল।
সম্প্রতি তাঁর মাথার দাম দেয় মহারাষ্ট্র পুলিশ। আজকের এই ঘটনার পর ফড়নবিশ বলেন, 'মহারাষ্ট্র শীঘ্রই মাওবাদী মুক্ত হবে।'