শেষ আপডেট: 29th January 2025 11:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুহূর্তে বদলে গেল আনন্দোৎসব। প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা চত্বরে রীতিমতো আর্তনাদ। মৌনী অমাবস্যার পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ পদপিষ্টের ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি শতাধিক মানুষ যেমন জখম তেমনই বহু মানুষের খোঁজ মিলছে না।
বস্তুত, পুণ্যস্নানে গিয়ে কাছের মানুষকে হারিয়ে রীতিমতো হাহাকার মেলা চত্বরে। কেউ বাবাকে খুঁজে পাচ্ছেন না তো কেউ মাকে। কেউ বা সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা। যার জেরে মেলাচত্বরে থাকা কেন্দ্রীয় হাসপাতালের সামনে ভিড় বাড়ছে নিখোঁজদের পরিজনদের। পরিস্থিতির জন্য যোগী প্রশাসনকেই দায়ী করছেন তাঁরা। নিখোঁজদের পরিজনদের কথায়, কোটি মানুষের ভিড়, অথচ ন্যূনতম ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে এর আগে একদিন আগুন লেগেছিল আখড়ার তাঁবুতে। সেবারেও সামনে এসেছিল গাফিলতির অভিযোগ। মঙ্গলবার গভীর রাতেও যে ভাবে মানুষের ব্যারিকেড ভেঙে পড়েছে তাতেও প্রশাসনিক গাফিলতি স্পষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, যেভাবে অন্ধকার থাকতেই গঙ্গার ঘাটে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগমে সৃষ্টি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স নামাতে হয়েছে। আখড়াগুলো অমৃতস্নানে যাওয়া স্থগিত রেখেছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে কেউ যেন পারতপক্ষে সঙ্গমের দিকে না যান।
মহা কুম্ভের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন মৌনী অমাবস্যা। লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী এদিন প্রয়াগরাজের সঙ্গমে স্নান করতে ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রবল ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় মেলা কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ভিড়ের চাপ সামলাতে কর্তৃপক্ষ একাধিক ঘোষণার মাধ্যমে ভক্তদের দ্রুত ঘাট খালি করার অনুরোধ জানায়। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উত্তেজনার মধ্যে আচমকাই সঙ্গম এলাকায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আহতদের দ্রুত মেলা প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্ট্রেচারে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। পরিজনদের খোঁজে সেখানেই ভিড় জমিয়েছেন অনেকে।
পদপিষ্টের ঘটনার পর মেলা প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, জনস্রোত নিয়ন্ত্রণে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, যাতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়।