মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 16 February 2025 11:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: "দিল্লিতে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা হৃদয় বিদারক। এই হৃদয় বিদারক ঘটনা দেখিয়ে দিল, যথাযথ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা কতটা জরুরি", স্টেশনের মহাবিশৃঙ্খলা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘটনাস্থল ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। কুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনার দু’সপ্তাহের মধ্যে শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে আরও একটা পদপিষ্টের ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশ। এ বারও সেই কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করেই।
The tragic loss of 18 lives in the Delhi stampede is deeply heartbreaking. This painful incident highlights the importance of careful planning and management, especially when it comes to the safety of citizens.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 16, 2025
Pilgrims on their way to the Maha Kumbh should have been met with…
মমতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "মহাকুম্ভে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের আরও উন্নত পরিষেবা পাওয়া উচিত। এই ধরনের যাত্রা যাতে নিরাপদে এবং সুসংহত ভাবে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।"
তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার পরপরই পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কেন্দ্রকে খোঁচা মারতে ছাড়েননি মমতা। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করার পাশাপাশি সেই বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "গঙ্গাসাগরের আয়োজন করে আমি শিখেছি, ভিড় করে পুণ্য অর্জন করতে আসা মানুষদের জীবন যেখানে জড়িয়ে আছে, সেখানে পরিকল্পনা আর ব্যবস্থাপনাই শেষ কথা।'
নয়া দিল্লির ঘটনার পর মমতার সেই একই সুর যেন অনুরণিত হল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে।
বস্তুত, রেলের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কেপিএস মলহোত্র জানিয়েছেন, প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই বিপুল সংখ্যক যাত্রী ওই প্ল্যাটফর্মে চলে আসেন। স্বতন্ত্র সেনানী এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস দেরি করায় সেই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভিড় জমিয়েছিলেন। ফলে একসঙ্গে কয়েক হাজার যাত্রী ওই তিনটি প্ল্যাটফর্মে হাজির হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু যাত্রীদের কেউই পুলিশকে সহযোগিতা করছিলেন না বলে দাবি রেলপুলিশের ডেপুটি কমিশনার। তার মধ্যে ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরাও হুড়মুড়িয়ে নামতে শুরু করেন। আর তাতেই পদপিষ্ট হন অনেকে।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মহিলা এবং শিশু মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতও অনেকে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে রেলপুলিশও।