শেষ আপডেট: 27th July 2024 10:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে শনিবার সকালে নির্ধারিত সময়ের আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের পৌঁছে গেলেন বংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাড়ে ন'টা নাগাদ দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে বৈঠক। রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠক চলছে। বৈঠকের মূল আলোচ্য— ‘বিকশিত ভারত’। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বৈঠকে যোগ দিতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত সরেনও। তবে বাজেট বৈষম্যর অভিযোগে কংগ্রেসের তিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন এবং কেরলের পিনারাই বিজয়ন বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না।
জানা যাচ্ছে, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষকে সামনে রেখে সরকার দেশের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ তৈরি করতে চায়। এ ব্যাপারে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হবে।
স্বাভাবিকভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেওয়া বাম, কংগ্রেসের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিল। তবে শুক্রবার বিকেলে দিল্লিতে পৌঁছেই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজের কারণ স্পষ্ট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিলাম। আগে আলোচনা করলে অন্য কিছু ভাবতাম।" মমতা এও জানান, "বঞ্চনা নিয়ে বলতে দিলে বলব, না হলে প্রতিবাদ জানিয়ে বেরিয়ে আসব।"
প্রসঙ্গত এ ব্যাপারে তৃণমূলের যে ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে, সেটা কয়েকদিন আগেই স্পষ্ট করেছিলেন দলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বাকি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে একযোগে সংসদে লড়াই করছে। করেও যাবে। তাই বলে জোটের সব সিদ্ধান্তে দলের সায় নাও থাকতে পারে। তৃণমূলের আরও একটি বক্তব্য হল, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দিলে তো রাজ্যের দাবিদাওয়া পেশ করার পাশাপাশি বাজেটে বৈষম্য নিয়েও সরব হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা হবে।
শুক্রবার দিল্লি পৌঁছে মমতাও জানান, তিনি বৈঠকে যোগ দিয়ে সব বঞ্চিত রাজ্যের হয়েই কথা বলবেন।