শেষ আপডেট: 9th June 2024 13:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যাবে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের আমন্ত্রণও জানানো হয়নি, করা হলেও যেতেন না তাঁরা। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশও জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোটের কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। করা হলে তাঁরা ভেবে দেখতেন যাওয়ার ব্যাপারে। অথচ সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে মোদীর শপথগ্রহণ অনু্ষ্ঠানে যাচ্ছেন! তাঁকে নাকি আলাদা করে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেয়ে দল এবং জোট শরিকদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করেছেন খাড়্গে। এর পরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি এই অনুষ্ঠানে যাবেন। বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ যোশী তাঁকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন বলেই জানা গেছে। উল্টোদিকে, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের বক্তব্য, বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের ছাড়া কাউকে এই অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি। যদি আমন্ত্রণ করা হত তাহলে অবশ্যই যাওয়ার ব্যাপারে ভেবে দেখা হত।
শনিবার জয়ী সাংসদদের নিয়ে কলকাতায় বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরই মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে তিনি বলেছিলেন, "আমন্ত্রণ পাইনি। পেলেও আমরা যেতাম না।" এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "এই সরকার অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে গঠন হচ্ছে। আমরা এই সরকারকে আমাদের শুভকামনা দিতে পারছি না। তবে দেশ ও দেশের মানুষকে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।"
একই সঙ্গে বিজেপি শিবিরকে খোঁচা দিয়ে মমতা আরও বলেন, কখনও কখনও সরকার একদিন স্থায়ী হয়। কে বলতে পারে এই সরকার ১৫ দিন টিকবে কিনা। কৌতূহলের বিষয় হল, সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে মমতা কেন আগেভাগেই সন্দেহ ও সংশয় প্রকাশ করছেন? পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, তার কারণ পরিষ্কার। লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর হতাশায় ডুবে রয়েছে রাজ্য বিজেপি। তাঁদের মনোবল ভেঙে দিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখতেই এই কথা বলছেন মমতা।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করবেন মোদী। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এবার শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপতি ভবনে হচ্ছে না। এবারই প্রথম 'কর্তব্য পথ'-এ হতে চলেছে এই অনুষ্ঠান। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিতে পারেন কয়েকজন মন্ত্রীও।