নতুন সুবিধা কার্যকর হতে চলেছে ১৫ অগস্ট থেকে।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 18 June 2025 14:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাতীয় সড়কে যাতায়াত আরও সহজ, আর্থিক দিক থেকে সাশ্রয়ী ও বিরক্তিহীন করতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। এক্স (টুইটার)-এ এক পোস্টে সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন, চালু হচ্ছে ফাস্টট্যাগের বার্ষিক পাস, যার মূল্য ধার্য হয়েছে মাত্র তিন হাজার টাকা।
এই পাস শুধুমাত্র ব্যক্তিগত, অ-বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য প্রযোজ্য। ১৫ অগস্ট থেকে এই বার্ষিক পাস ইস্যু করা শুরু হবে। যেদিন সক্রিয় করা হবে, সেই দিন থেকে এক বছরের জন্য বৈধ থাকবে পাসটি। তবে এক্ষেত্রে একটি শর্তও থাকছে, এই পাস ব্যবহার করে সর্বাধিক ২০০ বার ট্রাভেল করা যাবে। তারপর এক বছর না হলেও তা বাতিল হয়ে যাবে।
নীতিন গড়করি জানিয়েছেন, এই পাস চালু হলে জাতীয় সড়কে ভ্রমণ আরও মসৃণ ও সাশ্রয়ী হবে। রাজমার্গ যাত্রা অ্যাপে এবং এনএইচএআই (NHAI) ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের (MoRTH) সরকারি ওয়েবসাইটেও এই পাসের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এখান থেকেই পাস ইস্যু ও শেষ হলে পুনরায় চালু করা যাবে। তার জন্য শীঘ্রই লিঙ্ক দেওয়া হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেকেরই অভিযোগ ছিল ৬০ কিমি দূরত্বের মধ্যেই একাধিক টোল প্লাজা থাকে। সেখানে টোল দিতে দিতে পকেট ফাঁকা হয়ে যায়। এই নীতির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অভিযোগের সমাধান হবে। এখন থেকে মাত্র তিন হাজার টাকায় পুরো বছর টোল ফ্রি যাতায়াত করা যাবে। এতে সময় নষ্ট কমবে, প্লাজায় যানজট কমবে, ঝামেলাও হবে না।
গত মাসেই এই নতুন টোল নীতি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তখনই ইঙ্গিত মিলেছিল দু’রকম পাস চালুর কথা ভাবছে সরকার। বার্ষিক পাস: ৩ হাজার টাকায়। একবার ফাস্টট্যাগ রিচার্জ করলেই এক বছর জাতীয় সড়ক ও রাজ্য এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ছাড়। আর দূরত্ব ভিত্তিক পাস, যারা বার্ষিক পদ্ধতি নিতে চান না, তাদের জন্য ১০০ কিমি পিছু ৫০ টাকা হারে টোল নেওয়ার ভাবনাও চলছিল।
এই মুহূর্তে শুধু বার্ষিক পাস চালুর কথা জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় মডেলটি আদৌ চালু হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে সরকার ‘লাইফটাইম ফাস্টট্যাগ’ চালুর পরিকল্পনা করেছিল, যার মূল্য হতো ৩০ হাজার টাকা এবং বৈধতা থাকত ১৫ বছর। তবে পরে সেই প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
বর্তমান ফাস্টট্যাগ পরিকাঠামোর উপর নির্ভর করেই নতুন এই ব্যবস্থা চালু হবে। ভবিষ্যতে টোল বুথের বদলে জিপিএস ও অটোমেটেড ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে সেন্সর-ভিত্তিক টোল আদায়ের পদ্ধতি চালু করার কথাও ভাবছে কেন্দ্র। এই নতুন ব্যবস্থায় ব্যারিয়ার ছাড়াই ভ্রমণ সম্ভব হবে, এমনটাই আশা করছে সরকার।