শেষ আপডেট: 6th January 2025 11:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছত্তীসগড়ের বস্তার জেলায় ১২০ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে খবর করেছিলেন। শুক্রবার বিজাপুরের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় তরুণ সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের দেহ। ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হল সাংবাদিকের আত্মীয় সুরেশ চন্দ্রকরকে। তিনিই এই খুনের মাস্টার মাইন্ড, জানাল পুলিশ।
১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ। তাঁর দাদা যুকেশ চন্দ্রকর পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই মুকেশের ফোন সুইচড অফ ছিল। ঘটনায় আগেই তুতো ভাই রীতেশ চন্দ্রকর-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার হায়দরাবাদ থেকে সুরেশকে গ্রেফতার করা হল।
জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনা সামনে আসার পরই গা ঢাকা দেন সুরেশ। হায়দরাবাদে গাড়ি চালকদের সঙ্গে একটি বাড়িতে থাকছিলেন। পুলিশ ৩০০টি মোবাইল থেকে ২০০-রও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সুরেশকে ট্র্যাক করে। রবিবার রাতে তাঁকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সুরেশের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বেআইনিভাবে তৈরি করা একটি বাড়িও ভেঙে ফেলা হয়েছে। সুরেশের স্ত্রীকে কাঙ্কের জেলা জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে ছত্তীসগড় পুলিশ। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, এরই মধ্যে সামনে এসেছে সাংবাদিকের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। মাথায়, বুকে, পিঠে ও পেটে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার চার টুকরো হয়ে গেছিল। মাথা ১৫টা টুকরোয় ভাঙা, পাঁজরের পাঁচটা হার টুকরো টুকরো হয়ে গেছিল। হৃদপিন্ড ও গলার ভাঙা অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে এসেছিল।
খুনের নৃশংসতা দেখে শিউরে উঠছেন চিকিৎসকরাও। জানাচ্ছেন, এমন দেহ তাঁরা নিজেদের কর্মজীবনে পাননি। মনে করছেন, দুইয়ের অধিক মানুষ এই খুনের সঙ্গে জড়িত।