শেষ আপডেট: 26th September 2024 07:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুতে তরুণীকে কুপিয়ে ৫০ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ওড়িশার ভদ্রকে একটি গ্রামের মধ্যে গাছ থেকে ঝুলছিল দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মুক্তিরঞ্জন প্রতাপ রায় নামে ওই মূল অভিযুক্ত আত্মঘাতী হয়েছেন।
দিনকয়েক আগে, বেঙ্গালুরুতে মহালক্ষ্মী নামে বছর ২৬-এর এক তরুণীর টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে গোড়া থেকেই পুলিশের সন্দেহ ছিল মুক্তিরঞ্জন রায়ের দিকে। পুলিশ তার পরিচয় সামনে না আনলেও, জানিয়েছিল যে অভিযুক্ত ভিন রাজ্যের বাসিন্দা, বাঙালি। এর পর থেকেই তার খোঁজে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে মহালক্ষ্মী খুনের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মুক্তিরঞ্জন। ভদ্রক এলাকার বুয়াকাপুরা অঞ্চলের দুশিরি পুলিস স্টেশনের অন্তর্গত পান্ডি গ্রামে বুধবার পৌঁছয় সে। স্থানীয় সূত্রের খবর, পরের দিনই মোটরবাইকে করে তিনি বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে। তার পরেই বুধবার রাতে ভদ্রকেরই এক গ্রামে একটি গাছ থেকে তার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।
কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানিয়েছেন, তাকে ধরে খুনের কিনারা করতে ওড়িশা পৌঁছেছিল পুলিশের একটি দল। তবে শেষরক্ষা হল না। জীবিত ধরা গেল না অভিযুক্তকে।
জানা গেছে, মহালক্ষ্মী যে অফিসে কাজ করতেন, সেখানেই কাজ করত মুক্তিরঞ্জন। ১ সেপ্টেম্বর দু'জনকেই শেষ দেখা গিয়েছিল অফিসে। এর পরেই কারও কোনও খোঁজই পাননি কেউ। শেষে ২২ তারিখ বেঙ্গালুরুতে মহালক্ষ্মীর বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ফ্রিজ থেকে। ময়নাতদন্তে জানা যায়, ২ বা সেপ্টেম্বর খুন হয়েছে সে।