শেষ আপডেট: 2nd November 2024 13:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের সম্পত্তি নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে হামেশাই চর্চা চলতে থাকে। কিন্তু, মহারাষ্ট্রের শাসকজোটের নেতানেত্রীদের গত পাঁচবছরে সম্পত্তির উত্থান আরব সাগরের ঢেউয়ের থেকেও উঁচুতে বইছে। ২৭ জন বিদায়ী রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যের মোট সম্পত্তি পাঁচবছর ধরে প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে বৃদ্ধির হার সবথেকে বেশি ২০২২ সালের জুন মাসের পর থেকে। যদিও হিসাবটি মিলেছে গত পাঁচবছরকে ধরে।
তবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভায় রাজ্যের প্রাক্তন বিপণনমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ বেশ কয়েকজন সম্পত্তি বৃদ্ধিতে নজর কেড়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলে দেওয়া হলফনামাতেই এই রহস্য সামনে চলে এসেছে। এইসব নেতা-নেত্রীরা পাঁচবছরে প্রচুর জমি ও ফ্ল্যাট কেনায় খাতায়কলমে বিপুল সম্পত্তি বেড়েছে।
এই খাতায় প্রথমেই নাম রয়েছে রাজ্যের শিশু ও নারীকল্যাণ মন্ত্রী অদিতি তটকারের। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৭৭২ শতাংশ। ২০১৯ সালে তাঁর সম্পত্তি ছিল ৩৯ লক্ষ টাকার। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার। পূর্তমন্ত্রী রবীন্দ্র চ্ববনের সম্পত্তি বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। ২০১৯-এ ছিল মাত্র ৭ কোটি, ২০২৪ সালে ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে ১৫ কোটি। ভূমি ও জল সংরক্ষণ মন্ত্রী সঞ্জয় রাঠোরের সম্পত্তি বেড়েছে ২২০ শতাংশ। ছিল ৫.৯ কোটি, হয়েছে ১৫.৯ কোটি।
ক্রীড়া, যুবকল্যাণ এবং বন্দর উন্নয়ন মন্ত্রী সঞ্জয় বানসোড়ে-র সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৫ কোটি টাকার হয়েছে। বৃদ্ধির হার ১৪৪ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সম্পত্তি বৃদ্ধির হার ১৮৭ শতাংশ। ছিল ৭.৮১ কোটি, হয়েছে ২২.৪ কোটি টাকা। মহায়ুতি শাসকজোটের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মোট সম্পত্তি বৃদ্ধির হার তুলনায় কম। প্রথমজনের বেড়েছে ৪৪ এবং দ্বিতীয়জনের ৫৬ শতাংশ।
অর্থ তছরুপের অভিযোগে ইডি মামলা চলছে তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অজিত পাওয়ার এবং তাঁর দল এনসিপির নেতা হাসান মুশরিফের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের অর্থ তছরুপের মামলা চলছে। এনসিপি মন্ত্রী ছগন ভুজবল অন্য ইডি মামলায় জামিনে মুক্ত আছেন। ভুজবলের সম্পত্তি বেড়েছে ১৭ এবং মুশরিফের ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।