স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা স্বামীর।
শেষ আপডেট: 11th April 2025 19:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অসুস্থ স্ত্রীকে হত্যা করে, নিজেও আত্মহত্যা করেছেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ স্বামী। নাসিক শহরের এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতির মধ্যে গভীর ভালবাসা ছিল। কিন্তু স্ত্রী লতার দীর্ঘ অসুস্থতা এবং বার্ধক্যজনিত অসহায়তা তাঁদের জীবনকে মর্মান্তিক পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়।
ঘটনার পর পুলিশ তাঁদের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। সেখানে আত্মঘাতী স্বামী, মুরলিধর রামচন্দ্র যোশী লিখেছেন, 'আমি আমার স্ত্রী লতাকে খুব ভালবাসি। ও শয্যাশায়ী, অসুস্থতায় ক্লান্ত। আমি ওকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিচ্ছি। নিজেও মুক্তি পাচ্ছি।'
পুলিশ জানায়, মুরলিধর যোশী ছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুলপ্রধান এবং তাঁর স্ত্রী লতাও ছিলেন এক সময়ের শিক্ষিকা। গত চার বছর ধরে লতা শয্যাশায়ী ছিলেন। এই সময়ে তাঁদের দেখাশোনা করতেন সীতা রাঠোড় নামে এক সহকারী।
ঘটনার দিন, বুধবার সকালে, রাঠোড় প্রতিদিনের মতো নিজের কাজ শেষ করে বেরিয়ে যান দুপুরে। সন্ধ্যার দিকে তিনি যখন আবার বাড়িতে ফিরে দরজা খোলেন, তখনই দেখতে পান দম্পতির নিথর দেহ। দম্পতির দুই সন্তান বর্তমানে মুম্বইয়ে থাকেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, যোশী সম্ভবত প্রথমে গলা টিপে স্ত্রীকে হত্যা করেন এবং পরে নিজে আত্মহত্যা করেন। ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সুইসাইড নোটে নিজেদের কথার পাশাপাশি, সহকারী সীতা রাঠোড়ের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন মুরলীধর। সীতাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ারও অনুরোধ করা হয়েছে, যেটি তিনি আগে থেকেই আলাদা করে সরিয়ে রেখেছিলেন।
মুরলিধরের সুইসাইড নোটে আরও উল্লেখ ছিল, স্ত্রীর শেষকৃত্যের আগে যেন তাঁকে একটি নতুন শাড়ি, মাঙ্গলসূত্র ও অন্যান্য গয়না পরানো হয়। এমনকি তাঁদের শেষকৃত্যের সমস্ত খরচও আগেই গচ্ছিত রাখা হয়েছে বলেও সেখানে বলা হয়। শেষ বার্তায় তাঁর আবেদন, 'আমাদের শেষকৃত্যে যেন কেউ বাড়তি খরচ না করেন।'