Advertisement
প্রতীকী ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 20 April 2025 14:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্ত্রীর হাতে হেনস্থার শিকার হয়ে বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনা গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। পুরুষদের ওপর হওয়া হেনস্থা, অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। এরপরও চিত্রটা যে খুব একটা পাল্টায়নি তা মহারাষ্ট্রের একটি ঘটনাই প্রমাণ করে দিল। হবু স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের থেকে পাওয়া লাগাতার হুমকি, মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মঘাতী হলেন আয়কর বিভাগের কর্মী (Maharashtra Man dies after unbearable harassment)।
মৃত ব্যক্তির নাম হরেরাম সত্যপ্রকাশ পাণ্ডে (৩৬)। তিনি নাসিকের বাসিন্দা ছিলেন। কয়েক মাস আগেই বারাণসীর বাসিন্দা মোহিনী পাণ্ডের সঙ্গে আংটি বদল হয়েছিল। সামনেই তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বলেও জানা যায়।
এরমধ্যেই হবু স্ত্রীর অন্য সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারেন সত্যপ্রকাশ। এমনকি নিজে চোখেই প্রেমিক সুরেশ পাণ্ডের সঙ্গে হবু স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থাতেও দেখে ফেলেছিলেন তিনি।
সত্যপ্রকাশ তাঁর হবু স্ত্রীকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক না ভাঙলে তিনি বিয়ে করতে পারবেন না। অভিযোগ, এরপর থেকেই একের পর হুমকি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত তরুণী সত্যপ্রকাশ ও তাঁর পরিবারকে মিথ্যে যৌতুক মামলায় (Dowry Case) ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
ওই ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, এই পরিস্থিতির মুখে পড়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সত্যপ্রকাশ। মিথ্যে মামলায় ফেঁসে গেলে সামাজিক অসম্মানের ভয় তাঁকে দিনরাত তাড়া করত। কোনও সমাধান খুঁজে না পেয়েই আত্মহত্যার মত বড় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন তিনি।
গত ৩-৪ দিন ধরেই সত্যপ্রকাশের ঘরের বাইরে দুধের প্যাকেট জমছিল। কারও যাতায়াতও লক্ষ্য করা যায়নি। পরিস্থিতি গোলমেলে সন্দেহ করেই প্রতিবেশীরা স্থানীয় থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মৃতের দাদা হরেকৃষ্ণ পাণ্ডে মোহিনী, সুরেশ সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রে খবর, অভিযুক্তদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Advertisement
Advertisement