শেষ আপডেট: 29th January 2025 12:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহা কুম্ভে মহা বিপর্যয়ের খবর ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। শাহি স্নান করতে গিয়ে প্রবল ভিড়ে পদপিষ্টের ঘটনায় (Maha Kumbh Stampede) অনেকেই মারা গিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা দিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করার পাশাপাশিই, লিখলেন, 'গঙ্গাসাগরের আয়োজন করে আমি শিখেছি, ভিড় করে পুণ্য অর্জন করতে আসা মানুষদের জীবন যেখানে জড়িয়ে আছে, সেখানে পরিকল্পনা আর ব্যবস্থাপনাই শেষ কথা।'
মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রয়াগের সঙ্গমে লক্ষ লক্ষ ভক্তের জনস্রোত বইতে থাকে পুণ্যস্নানের উদ্দেশে। মধ্যরাতে একসময়ে ভেঙে পড়ে ব্যারিকেড। হুড়োহুড়ির জেরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পদপিষ্টের ঘটনাও ঘটে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি, তবে সূত্রের খবর, অন্তত ১৫ জনের প্রাণ গেছে এই ঘটনায়। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর টুইটে এই সংখ্যাই উল্লেখ করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন লেখেন, 'আমি মহা কুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনা শুনে গভীর দুঃখিত। অন্তত ১৫ জনের জীবন গেছে। মৃতদের পরিবারের জন্য আমি প্রার্থনা করছি।' এর পরেই গঙ্গাসাগরের কথা ছুঁইয়ে দিয়েছেন তিনি।
I am deeply saddened to learn of the tragic stampede at the Maha Kumbh, which has claimed at least 15 innocent lives. My thoughts and prayers are with the bereaved pilgrim families.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 29, 2025
My learning from our Gangasagar Mela is that planning and care must be maximal in matters…
অনেকেই মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে যে সুষ্ঠুভাবে গঙ্গাসাগরের আয়োজন করে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, তারই খানিকটা যেন 'বিজ্ঞাপন' এই সুযোগে করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করিয়ে দিলেন, তাঁর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা আরও নিখুঁত।
যদিও প্রয়াগের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার যখন পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে, তখন কুম্ভমেলায় হাজির ছিলেন ৮ কোটি মানুষ। শাহিস্নানের উন্মাদনায় গা ভাসিয়েছিলেন সাড়ে ৫ কোটি। সেই তুলনায় গঙ্গাসাগরে এবারের সর্বোচ্চ জমায়েতের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ। তবে সংখ্যার হিসেবে পিছিয়ে থাকলেও, আদতে ভিড় সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা যে সবচেয়ে জরুরি, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যোগী বলেন, 'সকালের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চারবার ফোন করে পরিস্থিতির খবর নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলও নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।'
সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে পুণ্যার্থীদের নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ভিড় সামাল দিতে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মহা কুম্ভের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন মৌনী অমাবস্যা। লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী এদিন প্রয়াগরাজের সঙ্গমে স্নান করতে ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রবল ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় মেলা কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ভিড়ের চাপ সামলাতে কর্তৃপক্ষ একাধিক ঘোষণার মাধ্যমে ভক্তদের দ্রুত ঘাট খালি করার অনুরোধ জানায়। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উত্তেজনার মধ্যে আচমকাই সঙ্গম এলাকায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আহতদের দ্রুত মেলা প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্ট্রেচারে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়।