শেষ আপডেট: 12th March 2025 12:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি চাকরি পেতে গেলে আগে তামিল ভাষা পড়তে ও লিখতে জানতেই হবে। এমনই নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। তামিলনাড়ু বিদ্যুৎ বোর্ডের একজন জুনিয়র সহকারী তামিল ভাষা (বাধ্যতামূলক) পরীক্ষায় ডাহা ফেল করার পর দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলাতেই স্পষ্ট নির্দেশ হাইকোর্টের।
জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর থেনি এলাকার বাসিন্দা এম জয়কুমার নামে ওই যুবক চাকরি পাওয়ার দুই বছরের মধ্যেও তামিল ভাষার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। সে কারণেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। যদিও চাকরি খুইয়ে সোজা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই কর্মী। সাফ জানান, তাঁর বাবা নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সেকারণেই তিনি সিবিএসই স্কুলে পড়াশোনা করায় কখনওই তামিল ভাষা শিখতে পারেননি তিনি।
তামিলনাড়ু বিদ্যুৎ বোর্ডের বিরুদ্ধে জয়কুমারের আবেদনের শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জি জয়চন্দ্রন ও বিচারপতি আর পূর্ণিমা প্রশ্ন তোলেন, একজন সরকারি কর্মচারী তামিল না জেনে কীভাবে কাজ করতে পারেন? সরকারি কর্মচারীরাই যদি ঠিকমতো তামিল না জানেন তাহলে কী করা যেতে পারে? কীভাবে তাঁরা দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করবেন? এরপরই বেঞ্চের নির্দেশ যে কোনও রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অবশ্যই রাজ্যের ভাষা জানতে হবে। না জানলে কিছুই করার থাকবে না।
হাইকোর্টের আরও নির্দেশ চাকরী প্রার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তামিল ভাষা পরীক্ষায় পাস করতেই হবে। তামিল না জেনে কেউ সরকারি চাকরি চাইবেন তা একেবারেই বরদাস্ত হবে না। এরপরই আদালত উভয় পক্ষকে চূড়ান্ত সওয়াল জবাবের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং মামলাটি ছয় সপ্তাহ পর শুনানির দিন ধার্য করে।
ইতিমধ্যেই হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছিল নয়া শিক্ষানীতিতে পড়ুয়ারা তৃতীয় ভাষা শেখার সুযোগ পাবে। তামিলনাড়ুতে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে তেলুগু ছাড়াও ইংরেজি ব্যবহৃত হয়। সে রাজ্যের ডিএমকে সরকারের অভিযোগ, তৃতীয় ভাষা শেখার কথা বলে আদতে হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্র।