শেষ আপডেট: 9th November 2024 21:05
কলকাতা ব্যুরো: কথা না শোনার অপরাধ! চটে গিয়ে নাবালক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হননি অভিযুক্ত শিক্ষক। গরম লোহার রড দিয়ে পড়ুয়াকে ছ্যাঁকা দেওয়ার পাশাপাশি গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কেরলের মলপ্পুরম জেলার ঘটনা। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে উমর আসরাফি নামে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম উমর আশরফি। মল্লপুরমের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন তিনি। অভিযোগ, নাবালক পড়ুয়া পড়তে এসে শিক্ষকের কথা শোনেনি বলে অভিযোগ। যার জেরেই তার উপর নেমে আসে ভয়ংকর নির্যাতন। পরে পড়ুয়ার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
তদন্তে নেমেও অভিযুক্ত শিক্ষকে নাগালে পেতে মাথা খারাপ হয়ে যায় পুলিশের। সূত্রের খবর, পুলিশের ভয়ে প্রথমে অভিযুক্ত কর্নাটকে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে পৌঁছে যায় তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাড়িতে। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ।
তামিলনাড়ুতে নিজের বাড়ি ফেরার পথে পুলিশকে দেখে প্রথমেই সতর্ক হয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে পালানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষককে পাকড়াও করে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত শুক্রবার অভিযুক্তকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে ছাত্র পেটানোর ঘটনা মল্লপুরমে নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তামিলনাড়ুর এই জেলাতেই স্কুলের ৫ ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল ফয়জল নামে স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে ৫২ বছর বয়সি ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।