শেষ আপডেট: 12th February 2025 07:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এবার তারই খেসারত দিতে হল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। আগেই সনিয়া তনয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলা। এবার আদালতে ডাক পড়ল লোকসভার বিরোধী দলনেতার। আগামী ২৪ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে বলে খবর।
অভিযোগ, ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন সেনাবাহিনীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। এরপরই বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তবের আইনজীবী বিবেক তিওয়ারি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলায় এবার বড় বিপাকে পড়লেন কংগ্রেস নেতা। সোজা ডাক পড়ল আদালতে।
মামলাকারীর অভিযোগ, ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর ১৬ ডিসেম্বর কংগ্রেস নেতা যে মন্তব্য করেছিলেন তা অবমাননাকর এবং ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তাতে মানহানি হয়েছে। এই আবহে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক ভার্মা ২৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করে বলেন, রাহুল গান্ধীকে ওই দিন লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাথিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
দিল্লি বিধানসভা ভোটে খাতা খুলতে না পারায় এমনিতেই অস্বস্তি বাড়ছে কংগ্রেসের। তার মধ্যেই রাহুলকে তলবের ঘটনায় হাত শিবিরের উপর যে চাপ অনেকটাই বাড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এর আগে ২০১৮ সালে কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কে রাহুল আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ। তার জন্য লোকসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আরও একটি মানহানির মামলার শুনানি হয় বিশেষ আদালতে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। গত পাঁচ বছর এই মামলা চললেও রাহুল গান্ধী আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। পরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর অবশেষে আদালতে হাজিরা দেন রাহুল।
এরপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস নেতার জামিন মঞ্জুর করেন স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রে। রায়বরেলির সাংসদ দাবি করেছেন যে তিনি এই অভিযোগে দোষী নন এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মামলাটি করা হয়েছে। এর আগে ফৌজদারি মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনতে হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। গুজরাটের আদালেতর সেই রায়ে সাংসদ পদও হারাতে হয়েছিল রাহুলকে।