শেষ আপডেট: 9th January 2025 19:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেউ বলছেন ৫০। কেউ ৭০। আবার কেউ ৮০-র পক্ষে। ফি-সপ্তাহে ঠিক কত ঘণ্টা করে কাজ করলে সংস্থার উৎপাদন অভীষ্ট লক্ষ্য ছুঁতে পারবে, সে বিষয়ে একের পর এক শিল্পপতি, বাণিজ্য সংস্থার প্রধান মত দিয়ে চলেছেন। যা নিয়ে প্রতিবার উস্কে উঠতে বিতর্ক। পক্ষে-বিপক্ষে দু-ভাগ হয়ে যাচ্ছে সমাজের একটা বড় অংশ।
এই তর্কের নতুন মুখ দেশের অন্যতম বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুব্রো-র চেয়ারম্যান এসএম সুব্রহ্মণ্যম। তিনি ধুয়ো তুলেছেন, বাড়িতে বউয়ের মুখের দিকে চেয়ে থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়। তার চেয়ে অফিসে সময় দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের। কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা বিনিয়োগ করা জরুরি।
এর আগে একই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি তুলেছিলেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তাঁর দাবি ছিল, লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে অপরিসীম খাটুনি খাটা প্রয়োজন। প্রতি সপ্তাহে ৮০ থেকে ১০০ ঘণ্টা যে করেই হোক অফিসকে দিতে হবে। ২০১০ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফান্ডাটা খুব সহজ। বেশি খাটলে যে কাজ এক বছরে শেষ হয়, সেটা চার মাসে খতম করে ফেলা সম্ভব।
একই সুর তুলেছিলেন নারায়ণ মূর্তি। ইনফোসিসের প্রধান দু-বছর আগে ৭০ ঘণ্টার সপক্ষে সওয়াল করেন। ওলা-র সিইও ভবেশ আগরওয়াল-ও নারায়ণের সুরে সুর মেলান। সপ্তাহে সাত দিন কাজ এবং ২০ ঘণ্টার লক্ষ্যমাত্রা—ভবেশের প্রস্তাব ছিল সরল!
একই কথা বলেছিলেন ‘শার্ক ট্যাক্স’-খ্যাত ‘শাদি ডট কমে’-র প্রধান অনুপম মিত্তল। তাঁর ভোট ছিল ৮০ ঘণ্টার পক্ষে।
অফিসের কাজে এতটা সময় বরাদ্দ করলে ঘরোয়া জীবন আর কর্মজীবনের তালমিল কতখানি বজায় থাকবে? অতিরিক্ত কাজের চাপ কি ব্যক্তিগত সম্পর্কে ছাপ ফেলবে না? সুব্রহ্মণ্যের প্রস্তাব এই তর্ক-বিতর্কেই নতুন করে ইন্ধন জোগাবে নিশ্চিত।