শেষ আপডেট: 22nd September 2024 14:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রেল লাইনে রাখা এলপিজি সিলিন্ডার। চালকের তৎপরতায় কানপুরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল মালগাড়ি। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে।
ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। চলতি মাসে এই নিয়ে চার বার। নাশকতার পিছনে ঠিক কী ও কারা রয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও পর পর এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রেল।
রবিবার ভোরে প্রয়াগরাজ ডিভিশনের পেরাম্বুর স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে রেললাইনের উপর সিলিন্ডারটি পাওয়া যায়। ট্রেনের ট্র্যাকে সিলিন্ডার দেখতে পান চালক। ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করান। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। ঘটনাস্থলে আসে রেল পুলিশ।
আরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, মালগাড়ির গতি কম থাকায় চালক পাঁচ কেজির সিলিন্ডারটি দেখতে পান। তদন্ত শুরু হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রয়াগরাজে রেললাইনের উপর ফেলে রাখা হয়েছিল বড় গ্যাস সিলিন্ডার, সাইকেল, দেশলাই ও পেট্রল। প্রয়াগরাজ থেকে হরিয়ানার ভিওয়ানির দিকে যাচ্ছিল কালিন্দি এক্সপ্রেস। সিলিন্ডারে ট্রেনটি ধাক্কা খায়। ৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে সেটি। ব্রেক কষেন চালক। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। সিলিন্ডার, দেশলাই, সাইকেল দেখে পুলিশের অনুমান ছিল, পরিকল্পিত ভাবেই এই কাজ করা হয়েছে। ট্রেন লাইনচ্যুত করাই লক্ষ্য ছিল।
অগস্ট মাস থেকে রেলে নাশকতার এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। ৮ সেপ্টেম্বর প্রয়াগরাজের এই ঘটনার আগে ২৩ অগস্ট রাজস্থানের পালি জেলায় আহমেদাবাদ-যোধপুর বন্দে ভারতের সামনে সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয়। ওই দিনই ফারুকাবাদ এক্সপ্রেসের সামনে রাখা হয়েছিল কাঠের গুঁড়ি। ১৭ অগস্ট কানপুরের কাছে রেললাইনে থাকা কোনও কিছুতে ধাক্কা খেয়ে লাইনচ্যুত হয় সাবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা।
গোয়েন্দাদের ধারণা, ঘটনাগুলির একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এর পিছনে ঠিক কার হাত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।