ঘটনার খবর পেয়ে তৎপর হয় আমদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। দ্রুত ওই আইসক্রিম পার্লারটি সিল করে দেওয়া হয়।
ছবিটি প্রতীকী
শেষ আপডেট: 15 May 2025 19:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোয়ালিটি ওয়ালস, আমূল, রলিক, মাদার ডেয়ারি বা বর্তমানে অরুণ খেয়ে খেয়ে যদি একঘেয়ে হয়ে যায়, আর খেতে ইচ্ছে করে না। তাহলে অন্যান্য ব্র্যান্ডের দিকে ঝুঁকতেই পারেন যেকেউ। হ্যাভমোর সেক্ষেত্রে খারাপ অপশন নয়। কিন্তু এই কোম্পানির আইসক্রিম খেতে গিয়েই বিপদে পড়লেন এক মহিলা। আইসক্রিম খাওয়ার আনন্দ ম্লান হয়ে গেল এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতায়।
আমদাবাদের মানিনগর এলাকার এক মহিলার অভিযোগ, আইসক্রিমের মধ্যে তিনি টিকটিকির লেজ পেয়েছেন। দেখেই ওই মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
জানা গিয়েছে, আমদাবাদের স্থানীয় একটি দোকান থেকে হ্যাভমোরের একটি ৮০ মিলিলিটার আইসক্রিম কেনেন তিনি। 'হ্যাভমোর হ্যাপি কন' নামের ওই আইসক্রিমটি খাওয়ার সময় অস্বস্তি হতে থাকে শরীরে। মুখে অস্বাভাবিক কিছু অনুভব করেন। তখনই খেয়াল করেন, আইসক্রিমে একটি টিকটিকির কাটা লেজ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বমি শুরু হয়। ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে তৎপর হয় আমদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। দ্রুত ওই আইসক্রিম পার্লারটি সিল করে দেওয়া হয়। তদন্তে জানা যায়, পার্লারটির কোনও বৈধ লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশনই ছিল না। এর পাশাপাশি, আইসক্রিমটির উৎস খুঁজে বের করে দেখা হয় যে, তা আমদাবাদের নারোদা এলাকার হ্যাভমোর আইসক্রিম ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল। ঘটনার জন্য ওই কারখানার উপর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে প্রশাসন।
জনসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশ দেয়, যে ব্যাচ থেকে এই আইসক্রিমটি সরবরাহ করা হয়েছিল, সেই পুরো ব্যাচ বাজার থেকে তুলে নিতে হবে। পাশাপাশি 'হ্যাপি কন' আইসক্রিমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে হ্যাভমোর সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, 'আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি এবং এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত আমাদের তরফেও হবে। হ্যাভমোরে আমরা সবসময় পণ্যের গুণমান এবং নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকি।'