শেষ আপডেট: 6th December 2024 20:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুর সিদ্ধগঙ্গা মঠের লিঙ্গায়েত সাধু শিবকুমার স্বামীর মূর্তি ভাঙার ঘটনায় এক ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার অভিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল পুলিশের হাতে। পুলিশের কাছে সব অভিযোগ স্বীকার করলেও কেন সে এমন কাজ করল তা শুনে হতবাক সকলে।
অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সি অভিযুক্তের দাবি, ‘তার স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন যিশু খ্রিস্ট। যিশুই নাকি শিব কুমার স্বামীর মূর্তি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
বেঙ্গালুরুর বীরভদ্র নগর এলাকার ঘটনা। গত ৩০ নভেম্বর রাত দেড়টা নাগাদ লিঙ্গায়েত সাধুর মূর্তিটি অভিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এরপর পয়লা ডিসেম্বর সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দোষীকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে গ্রেফতার করে। এরপর আদালতের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। সেখানেই এমন আজব দাবি অভিযুক্তের।
শ্রীকৃষ্ণ মানসিকভাবে সুস্থ কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, অপরাধের পিছনে মানসিক অসুস্থতাই প্রধান কারণ হতে পারে। কিন্তু এসব আজব দাবি করে শ্রীকৃষ্ণ পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে অভিযুক্তর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেই রিপোর্টে কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। এবার শ্রীকৃষ্ণের মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা হবে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অসুস্থতার জন্য এমন কাণ্ড সে ঘটিয়েছে কী না তা পরীক্ষা না করে এখনই বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতারের ঘটনায় তোলপাড় বিশ্ব। ঘটনার প্রতিবাদে হিন্দুরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বলে খবর। অভিযোগ, শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মগুরুদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। এমন আবহে বেঙ্গালুরুতে লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুর মূর্তি ভাঙার ঘটনায় যে নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি জনসেবামূলক কাজের জন্যই বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। ২০০৯ সালে ১১১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর।