৬৬ বছর বয়সি হামজা লস্করের মুখপত্রের সম্পাদক ছিল।
আমির হামজা।
শেষ আপডেট: 21 May 2025 09:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লস্কর-ই-তোইবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা রহস্যজনকভাবে হাসপাতালে ভর্তি। কী কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে, সেই রহস্য এখনও পুরোপুরি অজ্ঞাত। তবে, জঙ্গি সংগঠনের এই শীর্ষস্তরের নেতাকে লাহোরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং তার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে খোদ পাক সেনা ও আইএসআই।
জানা গিয়েছে, ৬৬ বছর বয়সি হামজা লস্করের মুখপত্রের সম্পাদক ছিল। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতেই মারাত্মকভাবে জখম হয় হামজা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সেনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ভর্তি করে নেওয়া হয়। তার অবস্থা খুবই গুরুতর বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে সরকারি বা লস্কর সূত্রে বুধবার সকাল পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। পাক চর সংস্থা আইএসআই তাঁকে ঘিরে রেখেছে।
আমির হামজা জখম হওয়ার মাত্র তিনদিন আগে পাকিস্তানে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের হামলায় লস্করের আরেক শীর্ষস্তরীয় নেতা তথা প্রধান নিয়োগকারী আবু সইফুল্লাকে গুলি করে খুন করা হয়। লস্করপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মঙ্গলবার রাত থেকে প্রচার চালাচ্ছে যে, তাদের সংগঠনের সকলে যেন জোটবদ্ধ থাকে, ভেঙে না পড়ে। হামজার ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র।
পাক পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালার বাসিন্দা হামজাকে ২০১২ সালে অগস্টে আমেরিকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করেছিল। শীর্ষ এই লস্কর নেতা সংগঠনের ভিতরে আফগান মুজাহিদিন বলে পরিচিত ছিল। তার সঙ্গে লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ও আবদুল রহমান মাক্কির ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। হাফিজ ও মাক্কিও রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত জঙ্গি। হাফিজ ও মাক্কিই হামজাকে লস্করের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য করেছিল।
লস্করের মুখপত্রের দেখাশোনা করার আগে হামজা সক্রিয় জঙ্গি হিসেবে বেশ কয়েকটি হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ভারতেও সক্রিয় ছিল সে। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এ ২০০৫ সালের হামলায় হামজা ও সইফুল্লা অংশ নিয়েছিল। এরপর তাকে হিংসাত্মক কাজ থেকে সরিয়ে দলের প্রচারের কাজে যুক্ত করা হয় এবং পরে সে মুখপত্রের সম্পাদক নির্বাচিত হয়। সম্পাদনার পাশাপাশি জঙ্গি কার্যকলাপের ধর্মীয় ব্যাখ্যা সংবলিত তার লেখা বেশ কয়েকটি বইও রয়েছে।