শেষ আপডেট: 11th April 2025 09:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'থ্রি ইডিয়টস' সিনেমার সেই দৃশ্য দেখে আজও থমকে যেতে হয়। দেওয়ালে বড় বড় করে লেখা, 'আই কুইট'। শূন্যে ঝুলছে দুটি পা। সে পায়ের মালিকের দেহে আর স্পন্দন নেই। ইঁদুর দৌড়ে দৌড়তে দৌড়তে ক্লান্ত হয়ে, সে খেলা ছেড়ে চলে গেছে অন্য মনে, অন্য ভুবনে।
উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে ফিরে এল তেমনই মর্মান্তিক দৃশ্য। দেওয়ালের আয়নায় লিপস্টিক দিয়ে লেখা, 'আই কুইট'। সে লিপস্টিক যে ঠোঁটের জন্য কেনা হয়েছিল, সে ঠোঁটজোড়া নিথর হয়ে গেছে। মাত্র ২৩ বছর বয়সে নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন দানিশ আরা। আইন ছাত্রী দানিশ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ইঁদুর দৌড়ের ক্লান্তিতে নয়, প্রেমে প্রতারিত হয়ে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, দানিশ আরা ঝাঁসির এক আইন কলেজে এলএলবি করছিলেন। পরিবারের দাবি, প্রায় ৪-৫ মাস আগে তিনি দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এক দন্ত চিকিৎসক আসাদের সঙ্গে পরিচিত হন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং আসাদ তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন।
কিন্তু কিছুদিন পর আসাদ পরিবারের পছন্দে অন্য এক মহিলার সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেন। এই খবরে দানিশের মন ভেঙে যায়।
পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, একসময় দানিশ আরাকে আসাদ ও তাঁর পরিবার তাঁদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই নির্যাতনের পরই তিনি বাড়ি ফিরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এই ঘটনায় সকলেই স্তম্ভিত। একজন উচ্চশিক্ষিতা তরুণী প্রেমিকের প্রতারণা, সামাজিক চাপে ও নির্যাতনের মুখে এতটাই ভেঙে পড়লেন যে তিনি নিজেকে শেষ করে দিলেন। তাঁর শেষ লেখা, আই কুইট, এ যেন কেবল তাঁর নয়, এই সমাজেরও একটি অসহায়তা ও নৈরাশ্যের প্রতিচ্ছবি।