বৈষ্ণোদেবী থেকে লোকনাথধাম– বারবার মন্দিরে মৃত্যুমিছিল দেখেছে দেশ, রক্ষা করতে পারেননি ঈশ্বর

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতবর্ষে মন্দির-মসজিদ কেবল ধর্মীয় উপাসনার স্থান নয়, এগুলি দেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যেরও প্রতীক। বিশেষ করে মন্দিরের ক্ষেত্রে এ কথা আরও বেশি প্রযোজ্য হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের নানা প্রান্তের মন্দিরে প্রার্থনা করতে এবং বিভিন্ন উৎসবে অংশ নিতে সমবেত হন। বড় মন্দিরগুলিতে বিশেষ দিনে, বিশেষ সময়ে রীতিমতো জনপ্লাবন ঘটে যায়। আর তখনই মর্মান্তিক বিপর্যয়ের সাক্ষী হয় ভক্তকুল (Temple Stampede)। মন্দিরের ঈশ্বরেরও ক্ষমতা নেই, সে বিপদ থেকে তাঁদের বাঁচানোর। কখনও ভক্তদের ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা, কখনও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বা কখনও মন্দির ভেঙে পড়া— এসব দুর্ঘটনা বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বহু বছর ধরেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের অভাব, নিরাপত্তার ঘাটতি এবং অপ্রতুল প্রস্তুতির কারণে এসব বিপর্যয় ঘটে।

অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে তেমনই এক বিপর্যয় ঘটে গেছে সদ্য। পুজো দেওয়ার টোকেন নিতে গিয়ে তিরুপতিতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়ে যায়। টোকেন দেওয়া শুরু হলে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন প্রচুর মানুষ। মারা গেছেন ৬ জন। আশঙ্কাজনক ভাবে চিকিৎসাধীন আরও অনেকে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গত ২০ বছরে ভারতের ১০ বড় মন্দির-বিপর্যয়।

মন্ধ্রদেবী মন্দির, মহারাষ্ট্র (জানুয়ারি, ২০০৫)

২০০৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের মন্ধ্রদেবী পাহাড়ের চুড়োয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনায় জানা যায়, ওই ছোট্ট মন্দিরে তিন লাখেরও বেশি ভক্ত পৌঁছানোর জন্য মাত্র ২০০ জন পুলিশ কর্মী নিয়োজিত ছিলেন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা ভিড় সামলানোর জন্য কোনও জরুরি পদক্ষেপ করা হয়নি।

এই পাহাড়ে ওঠার জন্য এক কিলোমিটার দীর্ঘ, সংকীর্ণ পথ পেরোতে হয় ভক্তদের। সেই পথের দু'ধারে সব মিলিয়ে ছিল ৩০০টি দোকানও! এই পরিস্থিতিতে ভয়ংকর ভিড় ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে বিপর্যয় এড়ানো যায়নি।

Mandher Devi temple crowd incident 25/01/2005 - Working With Crowds