Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 26 April 2025 13:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পেহেলগামে (Pahalgam Attack) পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। কাছের একটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে। আহতও হয়েছেন বহু।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) যখন শ্রীনগরে পৌঁছন, তখন বিশ্বের নানা দেশের নেতাদের শোকবার্তা আসছিল। যাঁদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, এই জঘন্য হামলার পেছনে যারা আছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে, কাউকে রেয়াত করা হবে না।
অন্যদিকে, ততক্ষণে 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' হামলার দায় স্বীকার করে নেয়। টিআরএফের (TRF) উত্থান ২০১৯ সালে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই সালেই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি হয়েছে। তখনই পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা-র 'ছায়া সংগঠন' হিসেবে উঠে আসে টিআরএফ। সেই সংগঠনেরই পাঁচ-ছ'জন আচমকাই মঙ্গলের দুপুরে পহেলগামে হামলা চালায় বলে গোয়েন্দারা জানান।
কিন্তু হঠাৎ করেই শনিবার ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগই নেই। ঘটনায় 'মিথ্যা অপবাদ' দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, চাপ আর ভয়ের চোটেই বেগতিক দেখে গোষ্ঠী সংগঠন দায় ঝাড়ার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার পহেলগামের জঙ্গি হামলার মূল চক্রী ছিলেন সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। গোয়েন্দাদের অনুমান, তাঁর নির্দেশেই পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় নির্বিচারে গুলি চালায়। অন্তত এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে খোদ সইফুল্লাও জানিয়েছিলেন, হামলার গোটা ব্যাপারটাই নাকি "ভারতের নাটক"।
Advertisement
Advertisement