বিজেপির তাবড় নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য বলে মানুষকে বোঝাতে চেয়েছিল।
শেষ আপডেট: 23 November 2024 07:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঝাড়খণ্ডে জমি কেলেঙ্কারি, লাভ জেহাদ-এর ঢক্কানিনাদ কোনও কাজে লাগল না নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির। ঝাড়খণ্ডে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মা বাহিনীর লাগাতার এই দুই ইস্যুতে প্রচার জলে গেল। ঝাড়খণ্ডের ভোট ফলাফলের গতিপ্রকৃতি প্রমাণ দিচ্ছে আদিবাসীদের ভূমিতে গেরুয়া বিজয়রথের চাকা মাটিতে বসে গিয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা 'অপারেশন কমল।' জনমতের রায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সিপিআইএমএলের মহা গাঁটবন্ধনের পক্ষে।
ঝাড়খণ্ডে ভোটপ্রচারে এসে বিজেপির তাবড় নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য বলে মানুষকে বোঝাতে চেয়েছিল। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য রাজ্যের জমি ও চাকরি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এতে রাজ্যের ভাষা ও চরিত্রগত বদল ঘটে যাবে বলে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল। তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের তফসিলি উপজাতিভুক্ত মানুষ ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। প্রত্যাখ্যান করেছেন বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে। এমনকী ভোটের মুখে জেএমএমের ডাকসাইটে নেতা চম্পাই সোরেনকে ভাঙিয়েও আদিবাসীদের মন গলাতে ব্যর্থ হয়েছে মোদী অ্যান্ড কোং।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে জেএমএম জোট এগিয়ে রয়েছে ৫০টি আসনে। অন্যদিকে, বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি এগিয়ে ২৮টি আসনে। নির্দল ২টিতে। জেএমএম ৩০টিতে, কংগ্রেস ১৪, আরজেডি ৫ এবং সিপিআইএমএল একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে ২৪টিতে, আজসু ২, জেডিইউ এবং এলজেপি একটি করে আসনে এগিয়ে রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রথম ঝাড়খণ্ডে ভোটে লড়াই করা লোকতান্ত্রিক ক্রান্তিকারি মোর্চা জুগসলাই ও দুমরি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে পাঙ্কি আসনে একজন নির্দল প্রার্থী এগিয়ে গিয়েছেন। জিতলে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এই তিন প্রার্থীও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন।