মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লালুপ্রসাদ যাদব
শেষ আপডেট: 10 December 2024 07:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটে বিজেপিকে আড়াইশ আসনের নিচে নামিয়ে আনার আনন্দ এরই মধ্যে মাটি হয়েছে। প্রায় একশটি আসনে জিতে কংগ্রেসে যে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছিল, তাও হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে ভোটের পর এক্কেবারে চুপসে গেছে। অনেকে ধারণা করেছিল, চন্দ্রবাবু নায়ডু ও নীতীশ কুমারের উপর নির্ভরশীল তৃতীয় মোদী সরকার বুঝি উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতি থেকে বিরত থাকবে। সেই গুড়ে বালি দিয়ে চন্দ্রবাবু ও নীতীশও এখন হরিনাম সংকীর্তনে নেমেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটের মধ্যে মজবুত মুখের সন্ধান শুরু হয়ে গেল।
শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির পর এখন লালু প্রসাদও সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন যে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বের রাশ কোনও মজবুত মুখের হাতে দেওয়া হোক। সেই তিনি হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। কারণ, লাগাতার তৃণমূল কংগ্রেসই বিজেপিকে ঘোল খাওয়াচ্ছে। তা সে বিধানসভা ভোট হোক বা লোকসভা নির্বাচন। এমনকি সদ্য বাংলায় উপ নির্বাচনে ১০টি আসনের মধ্যে ১০টিই হেরেছে বিজেপি। তাদের জেতা আসনও ধরে রাখতে পারেনি।
প্রশ্ন হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দায়িত্ব নিতে রাজি হবেন কিনা? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তিনি। সেই দায়িত্ব সামলে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দিতে ঘন ঘন তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া কতটা সম্ভব হবে তা অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বলতে পারবেন।
ইন্ডিয়া জোটে বর্তমান যে নেতানেত্রীরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম অভিজ্ঞ ও ওজনদার নেত্রী। বিরোধী জোটে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তৃণমূল। কংগ্রেস ও সপার পর লোকসভায় জোড়াফুলের সদস্য সংখ্যাই বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত বারের সাংসদ। নয়ের দশক থেকে কেন্দ্রে মন্ত্রী ও পরে তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী। এত দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সাফল্য জোটের প্রবীণতম সদস্য শরদ পাওয়ারেরও নেই।
তবে হ্যাঁ লালু-পাওয়ারের এই প্রস্তাবে ক্যাচ টোয়েন্টি-টু অবস্থা বামেদের। ইন্ডিয়া জোটে তাঁরাও রয়েছেন। মমতা জোটের নেত্রী হলে মহম্মদ সেলিম-বৃন্দা কারাটরা আদৌ ইন্ডিয়াতে থাকতে রাজি হবেন কিনা সেটা লক্ষ টাকার প্রশ্ন।