শেষ আপডেট: 3rd February 2025 16:50
এখানেই শেষ নয়। জয়া বচ্চন আরও দাবি করেন যে, মৃতদেহগুলোর পোস্টমর্টেম করা হয়নি, এবং পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার প্রকৃত সত্য আড়াল করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, 'এই দূষিত জলই এখন মানুষ ব্যবহার করছে। সরকার এ নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দিচ্ছে না, বরং পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ...এরা জল এবং জলশক্তি নিয়ে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে, অথচ বাস্তবে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। বলা হচ্ছে, কোটি কোটি মানুষ কুম্ভে গিয়েছেন। আমি জানতে চাই, একসঙ্গে এত বিশালসংখ্যক মানুষ কীভাবে এক জায়গায় থাকতে পারেন?'
জয়া বচ্চন প্রথম নন, বিরোধীরা ঘটনার পর থেকেই দাবি করছে, কুম্ভের পদপিষ্ট দুর্ঘটনায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করছে সরকার। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব-সহ একাধিক বিরোধী নেতা বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছেন।
মহাকুম্ভের ‘মৌনী অমাবস্যা’ স্নানের দিন, ২৯ জানুয়ারি, গভীর রাতে সঙ্গমে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। লাখ লাখ ভক্ত একসঙ্গে স্নানে নামতে গেলে, ব্যারিকেড ভেঙে পড়ে এবং বিপুল ভিড়ে পিষ্ট হয়ে পড়ে বহু মানুষ। একদিন পরে সরকার জানায়, ৩০ জন মারা গিয়েছেন। বিরোধীরা দাবি করেন, আসল মৃতের সংখ্যা আরও বেশি এবং সরকার তথ্য গোপন করছে।