শেষ আপডেট: 20th March 2024 08:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তর প্রদেশে ফের সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হল। রাজ্যের বাদায়ুন জেলায় পুলিশ মঙ্গলবার রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মহম্মদ সাজিদ নামে বছর তিরিশের এক ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। নিহত ব্যক্তি পেশায় ছিলেন ক্ষৌরকর্মী।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আয়ুশ (১৩) এবং হানি (৭) নামে দুই নাবালককে হত্যার অভিযোগে বাদায়ুন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। আয়ুশ ও হানির আর এক ভাই পীযুষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে সাজিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। হত্যাকান্ডটি ঘটে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ। সাড়ে ন’টা নাগাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সাজিদ।
উত্তর প্রদেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অপরাধীর মৃত্যু নতুন কোনও ঘটনা নয়। যোগী আদিত্যনাথ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারে বারে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করে সংঘর্ষের গল্প ফাঁদছে বলে সুপ্রিম কোর্টেও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত দেড়শোর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে খবর। মঙ্গলবারের ঘটনায় নিহত সাজিদের বিরুদ্ধে অতীতে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ ছিল কি না জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে সাজিদের সেলুন আয়ূশ, হানিদের বাড়ির লাগোয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে ওই নাবালক ভাইদের বাড়িতে গিয়েছিল। বাচ্চাদের বাবা-মা তখন বাড়িতে ছিলেন না। দিদিমা সাজিদকে ড্রয়িং রুমে বসিয়ে রেখে চা বানাতে গিয়েছিলেন। এই ফাঁকে সে দুই নাবালককে গলা কেটে খুন করে বলে তাদের বড় ভাই পীযূষ দেখতে পায়। সাজিদ তাঁকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। সে কোনওরকমে পালিয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়।
ঘটনা জানাজানি হতে স্থানীয় মানুষ সাজিদের সেলুনে ভাঙচুর চালায়। তবে একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ অভিযুক্তকে হত্যা করায় দুই নাবালকের খুনের কারণ এবং সাজিদই প্রকৃত খুনি কি না, এই প্রশ্নের উত্তর অজানাই থেকে গেল।