যে নথি বা তথ্য উদ্ধার হয়েছে তা খতিয়ে দেখেই দুর্ঘটনার আসল কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা হবে। যদিও বিমানের 'ব্ল্যাক বক্স' নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 20 June 2025 02:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) এক সপ্তাহ পর দুর্ঘটনাস্থলে শেষ হল মুখ্য তথ্য সংগ্রহ এবং উদ্ধারকাজ। এখন তদন্তকারীরা শুধু বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স’-এর সব তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, উড়ানের ঠিক আগে কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি ওই বিমানে। তাহলে কেন উড়ানের কিছু মুহূর্তের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমান ভেঙে পড়ল (Air India Crash) তা এখনও রহস্য।
অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলের মূল উদ্ধার কাজ, প্রমাণ সংগ্রহ এবং তথ্য নথিবদ্ধকরণ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন তদন্ত রয়েছে বিশ্লেষণ পর্যায়ে। যে নথি বা তথ্য উদ্ধার হয়েছে তা খতিয়ে দেখেই দুর্ঘটনার আসল কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা হবে। যদিও বিমানের 'ব্ল্যাক বক্স' নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। কারণ জানা গেছে, তা আমেরিকায় পাঠানো হতে পারে। কারণ সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর উদ্ধার হওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে গুজরাত স্টেট অ্যাভিয়েশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি লিমিটেড (GUJSAIL)-এর দফতরের পাশের জমিতে। ওই জমির মালিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI)। সেখানেই বাকি তদন্তের কাজ সম্পন্ন হবে। কিন্তু যতদিন না পর্যন্ত 'ব্ল্যাক বক্স'-এর সম্পূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে, ততদিন দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর, বিপর্যস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের (Air India Plane Crash) 'ব্ল্যাক বক্স' (Black Box) এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তা থেকে তথ্য বের করা কার্যত মুশকিল। এমনকী, এ দেশে থেকে তা সম্ভব নয়! এই কারণে সেটিকে বিদেশে পাঠানো হতে পারে। আপাতত 'ব্ল্যাক বক্স' থেকে যে টুকু তথ্য মিলেছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাই সম্পূর্ণ তথ্য উদ্ধার করতে সেটিকে আমেরিকা (United States) পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। যদিও সরকারিভাবে এখনও কিছু জানান হয়নি এই ইস্যুতে।
'ব্ল্যাক বক্স'-এ আদতে দুই ধরনের ডিভাইস থাকে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR)। কিন্তু তা থেকে এখনও দুর্ঘটনার আসল কারণ সংক্রান্ত কোনও তথ্য মেলেনি। এখন খবর, সেটিকে ওয়াশিংটন ডিসি-র ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (NTSB) কাছে পাঠানো হবে। সেটিকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন ভারতীয় কয়েকজন আধিকারিক। তারা খেয়াল রাখবেন যাতে সব সেফটি প্রটোকল ফলো করা হয়।