শেষ আপডেট: 31st January 2025 16:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেরলের এক নাবালক ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এল র্যাগিংয়ের বিষয়। ওই পড়ুয়ার বাবা-মা দাবি করেছেন, স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের সন্তানকে অত্যাচার করা হয়েছে। শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের ফলেই সে বাধ্য হয়ে নিজেকে শেষ করেছে। এই ইস্যুতে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছে পরিবার।
এরনাকুলামের এক বহুতলে থাকত মিহির নামের ওই নাবালক। গত ১৫ জানুয়ারি বহুতলেরই ২৬ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। তাঁর মা রজনা এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন কীভাবে তাঁর ছেলেকে দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয়েছে স্কুলে। তাঁর কথায়, ছেলের মৃত্যুর পর স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে, সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে দেখে তাঁরা আসল আত্মহত্যার আসল কারণ জানতে পেরেছিলেন।
মিহিরের মা দাবি করেছেন, ''আমার ছেলেকে বেধড়ক মারা হত, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হত প্রায় সব সময়ে। স্কুলের শেষের দিন পর্যন্ত মারাত্মক অত্যাচার করা হয়েছে তাঁকে। বাথরুমে ঢুকিয়ে জোর করে টয়লেট সিট চাটানো হয়েছে, কমোডে মুখ ঢুকিয়ে ফ্ল্যাশ করে দেওয়া হয়েছে! স্কুলের ভিতর শুধু নয়, স্কুল বাসের মধ্যেও তাঁকে বারবার অপমানিত করা হয়েছে।'' তাঁর অভিযোগ, মিহিরের গায়ের রঙের জন্য তাঁকে র্যাগিং করত কয়েকজন।
View this post on Instagram
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মিহিরের মা আরও লিখেছেন, ''আমার ছেলের মৃত্যুর পরও যারা র্যাগিং করত তাঁরা থামেনি। বরং তাঁর মৃত্যু নিয়ে মজা করেছে। অশালীন ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেছে। মিহিরের জন্য বিচার চেয়ে স্কুলের কয়েকজন একটি ফেসবুক পেজও খুলেছিল। কিন্তু সেটাও ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সত্যি ঢাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা চুপ থাকব না।'' তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে পুলিশে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। এমনকী শিশু কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছেন।