শেষ আপডেট: 27th July 2024 08:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুর মতো, কেরলেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের ক্ষমতার লড়াই লেগেই আছে। সিপিএম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বিবাদ প্রায়ই প্রকাশ্যে চলে আসে। সেই লড়াই এবার সংসদে পৌঁছে গেল।
সিপিএমের দুই এমপি রাজ্যপালের ক্ষমতা ছাঁটতে চেয়ে রাজ্যসভায় দুটি প্রাইভেট মেম্বার বিল পেশ করেছেন। তারমধ্যে একটি বিল আলোচনার জন্য গৃহীত হয়েছে।
গত বছর রাজ্যপাল খান কেরলের অর্থমন্ত্রী কেএন বালাগোপালকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিতে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাইকে চিঠি দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের সেই চিঠি নয়া বিতর্কের সূচনা করে। রাজ্যপাল কোনও মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিতে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে পারেন কি না সেই প্রশ্ন দেখা দেয়। সিপিএমের এমপি এএ রহিম একটি সংবিধান সংশোধন বিল পেশ করে তাতে দাবি করেন, মন্ত্রীদের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীই শেষ কথা। রাজ্যপালের কোনও এক্তিয়ার নেই।
রহিমের এই প্রাইভেট মেম্বার বিলটি আলোচনার জন্য গৃহীত হয়ে যায়। তবে সিপিএমের আর এক এমপি জন ব্রিটাসের আনা বিলটি বিজেপি সাংসদদের বাধায় আটকে যায়। অধিবেশন তখন পরিচালনা করছিলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ। তিনি ভোটাভুটির ব্যবস্থা করলে সিপিএম হেরে যায়। ব্রিটাসের বিলটির বিষয় ছিল, রাজ্যপালদের আচার্য হিসাবে ভূমিকা পালনের অধিকার বাতিল করা হোক।
প্রাইভেট মেম্বার বিল নিয়ে সভায় আলোচনা হলেও তা থেকে আইন তৈরি করা হয় না। জনস্বার্থে সদস্যরা এই বিল আনলে তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। তাতে সদস্যরা নিজেদের মতামত দিতে পারেন। বোঝাই যাচ্ছে কেরলের সিপিএম সরকার রাজ্যপালকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলা এবং তামিলনাড়ুতে রাজ্য-রাজ্যপাল আপাতত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বাংলায় উপাচার্য নিয়োগের ভার সুপ্রিম কোর্ট শীর্ষ আদালতের এক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছে। রাজ্যপালকে শেষ কথা বলার সুযোগ শীর্ষ আদালত দেয়নি।