শেষ আপডেট: 22nd February 2025 11:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি আধিকারিক (Bureaucrat), তাঁর মা এবং বোন, তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এবার চাঞ্চল্য ছড়াল কেরলে (Kerala Incident)। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে আধিকারিকের মায়ের দেহ যে অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মণীশ বিজয় নামের ওই যুবক এক্সসাইজ এবং জিএসটির অ্যাডিশনাল কমিশনার ছিলেন। তাঁর সহকর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, অফিস থেকে চারদিন ছুটি নিয়েছিলেন মণীশ। তবে ছুটির দিন পেরিয়ে গেলেও অফিস আসছিলেন না। তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো মণীশের শরীর খারাপ হয়েছে। তাই তাঁর বাড়িতে গেছিলেন তাঁরা। তবে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ এবং ভিতর থেকে একটা বোঁটকা গন্ধ বেরোচ্ছে। তাতেই সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশ ডাকেন।
আধিকারিকের বাড়ির তিনটি আলাদা ঘর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মণীশ এবং তাঁর বোন শালিনীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে এবং তাঁদের মায়ের দেহ বিছানায় শোয়ানো ছিল। শুধু তাই নয়, মায়ের দেহ ছিল সাদা চাদরে ঢাকা এবং পাশে ফুল ছড়ানো ছিল। এতেই পুলিশ মনে করছে, আগে মাকে খুন করেছেন মণীশ বা শালিনী, তারপর তাঁরা আত্মহত্যা করেন। তিনজনেরই কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেহে পচনও ধরে গেছিল।
মণীশের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে লেখা, বিদেশ তাঁদের যে আত্মীয়রা রয়েছেন তাঁদের যেন এই ঘটনার ব্যাপারে খবর দেওয়া হয়। মণীশরা আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, কর্মসূত্রেই কেরলে থাকছিলেন। যদিও ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন মণীশরা তা এখনও বুঝতে পারছে না পুলিশ। কোনও কারণে মানসিক অবসাদ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে অবশ্য পুলিশ জানতে পেরেছে, ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন (২০০৬)-এ প্রথম হয়েছিলেন শালিনী। তবে ডেপুটি কালেক্টর হয়ে কাজ শুরু করার কয়েক মাসের মধ্যে তাঁর ব়্যাঙ্ককে চ্যালেঞ্জ করা হয় এবং শেষমেশ চাকরি হারান তিনি। ২০২৪ সাল থেকে সিবিআই তদন্ত করছিল সেই মামলা এবং তারই শুনানি চলছে এখন ঝাড়খণ্ডে। সেই মামলার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।