দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহেলগামে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। এ বছরের মধ্যে পর্যটকদের লক্ষ্য করে সংঘটিত এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। কেন্দ্র শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে সরকারের কঠোর অবস্থানের মধ্যেই এই নৃশংস ঘটনা ঘটল।
এই ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় আমি শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। যারা এই কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠিনতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২০০০ সালের পর কাশ্মীরে নাগরিকদের উপর বড় সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলোর তালিকা:
২১ মার্চ, ২০০০: অনন্তনাগ জেলার ছাট্টিসিংহপোরা গ্রামে সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের উপর হামলায় নিহত ৩৬।
অগস্ট, ২০০০: নুনওয়ান বেস ক্যাম্পে অমরনাথ যাত্রার ২৪ তীর্থযাত্রীসহ মোট ৩২ জন নিহত।
জুলাই, ২০০১: অনন্তনাগের শেশনাগ বেস ক্যাম্পে অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলায় ১৩ জন নিহত।
১ অক্টোবর, ২০০১: শ্রীনগরে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিধানসভা ভবনে হামলায় নিহত ৩৬।
২৩ নভেম্বর, ২০০২: জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের লোয়ার মুন্ডা এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণে ১৯ জন নিহত, যাদের মধ্যে ৯ জন নিরাপত্তাকর্মী, ৩ জন মহিলা ও ২ জন শিশু।
২৩ মার্চ, ২০০৩: পুলওয়ামার নন্দিমার্গ গ্রামে অন্তত ২৪ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করা হয়, যাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও ২ শিশু ছিল।
১৩ জুন, ২০০৫: পুলওয়ামার একটি জনবহুল বাজারে গাড়ি বিস্ফোরণে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক, ৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত ও ১০০ জনের বেশি আহত।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬: উরিতে ভারতীয় সেনার ব্রিগেড সদর দফতরে জইশ-ই-মোহাম্মদের হামলায় ১৯ জওয়ান নিহত, আহত ৩০।
১০ জুলাই, ২০১৭: কুলগামে অমরনাথ যাত্রার বাসে হামলায় ৮ জন তীর্থযাত্রী নিহত।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯: পুলওয়ামার লেথাপোরায় আত্মঘাতী হামলায় শহিদ ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান।