শেষ আপডেট: 29th July 2024 07:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চলতি বছরে তীব্র দাবদাহের সাক্ষী হয়েছে ভারত। এদেশের বেশ কিছু জায়গার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পায়নি জম্মু ও কাশ্মীরও। কিন্তু জুনের পর থেকে পারদ অনেকটাই নেমেছে। জুলাই মাসে যখন দেশের একাংশ জলমগ্ন, তখন তাপমাত্রা রেকর্ড গড়ল ভূস্বর্গ। গত ২৫ বছরের মধ্যে এবছর জুলাইতে জম্মু ও কাশ্মীরের তাপমাত্রা সর্বোচ্চে পৌঁছে গিয়েছে।
উপত্যকার একাধিক জায়গায় চলছে দাবদাহ। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার শ্রীনগরের তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাইয়ের পর এই প্রথম জুলাই মাসে তাপমাত্রা এত বেশি হল। ১৯৯৯ সালে তাপমাত্রার পারদ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকেছিল।
এখনও পর্যন্ত শ্রীনগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাধীনতার আগে, ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই তাপমাত্রা ওই রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। এছর শুধুমাত্র শ্রীনগরই নয়, উপত্যকার একাধিক এলাকায় ক্রমশ চড়ছে পারদ।
রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্ড এবং কোকেরনাগে উষ্ণতম জুলাইয়ের দিন হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন কাজিগুন্ডের তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৮৮ সালের ১১ জুলাই সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। অন্যদিকে, কোকেরনাগের তাপমাত্রা ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। এবছর ৩ জুলাই সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। ১৯৯৩ সালের ৮ জুলাই দক্ষিণ কাশ্মীরের তাপমাত্রা একবারই ৩৩ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। তারপর থেকে একধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে, সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা কিছুটা নামতে পারে বলে অনুমান।
গত শীত থেকেই কাশ্মীরের তাপমাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ইদানীং কাশ্মীরে তুষারপাতেও ঘাটতি দেখা যায়। উপত্যকার আবহাওয়ায় এহেন পরিবর্তনের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার প্রভাব পড়ছে ভূস্বর্গের পর্যটন ব্যবসাতেও।