পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি গত ১১ মে'র। নাগেশ ও তাঁর ছেলে সূর্য গভীর রাত পৌনে দু'টো নাগাদ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির ভিতরেই ছিলেন। দু'জনে বচসায় জড়িয়ে পড়েন যা কিছুক্ষণের মুধ্যেই হাতাহাতিতে পরিণত হয়।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 14 May 2025 15:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গভীর রাতে বাবার সঙ্গে আচমকাই কথা কাটাকাটি। রাগের মাথায় শ্বাসরোধ করে বাবাকে খুন করল ছেলে। 'নৃশংস অপরাধ'কে দুর্ঘটনা প্রমাণ করতে বন্ধুদের সাহায্যে দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে। কর্নাটকের পুলিশ তদন্ত শুরু করলে সামনে আসে আসল কারণ (Karnataka Man Strangles Father)।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি গত ১১ মে'র। নাগেশ ও তাঁর ছেলে সূর্য গভীর রাত পৌনে দু'টো নাগাদ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির ভিতরেই ছিলেন। দু'জনে বচসায় জড়িয়ে পড়েন যা কিছুক্ষণের মুধ্যেই হাতাহাতিতে পরিণত হয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নাগেশ তাঁর ছেলেকে চড় মারেন, পা থেকে জুতো খুলেও মারধর করেন। এরপর লাঠি দিয়ে মারতে গেলে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল সূর্য। পুরো সময়টাতেই তাঁর হাতে একটি সাদা কাপড় দেখা গিয়েছে।
এরপর পিছন ঘুরতেই সূর্য ওই কাপড় দিয়ে বাবার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। সেইসময় অভিযুক্তর এক বন্ধু ঘটনাস্থলেই ছিলেন। তাঁর সাহায্য নিয়েই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন। বিষয়টিকে দুর্ঘটনা দেখানোর জন্য মৃতদেহেরর আঙুলে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়।
নাগেশের পরিবার মেনে নিয়েছিল যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocution) হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের মেয়ে সবিতার সন্দেহ হওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারে কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বন্ধু এখনও পলাতক। কেন নিজের বাবাকে হত্যা করলেন সূর্য, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া (Howrah) জেলা থেকে একটি নৃশংস ঘটনা সামনে এসেছে। নাবালিকার সামনেই মাকে খুনের অভিযোগ বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে। ৮ বছরের প্রত্যক্ষদর্শী ওই নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছেন, বাবা মায়ের হাত চেপে রেখেছিল, দাদা গলা টিপে খুন করেছে। মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন। দু'জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, অফিসের এক কর্মচারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই পরকীয়া সম্পর্কে ছিলেন তাঁর স্ত্রীর। সেই থেকেই এই মর্মান্তিক পরিণতি বলে অনুমান।