শেষ আপডেট: 19th August 2024 17:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি মিলল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। মাইসুরু নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জমি কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু যে অনুমতি রাজ্যপাল দিয়েছিলেন সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। আদালত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারাধীন আদালতকে। আগামী ২৯ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না নিম্ন আদালত।
প্রসঙ্গত, কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে চাপে ফেলে গত শনিবার রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিতর্কিত মাইসুরু নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমইউডিএ) জমি কেলেঙ্কারি তদন্তের অনুমতি দেন। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি যেমন অগ্রসর হয়েছিল, তেমনই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজ্যপালের যে সবুজ সংকেত প্রয়োজন তা দেন গেহলট।
রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত বা বিচার প্রক্রিয়ায় অনুমতি দান করেছেন রাজ্যপাল। গত ২৬ জুলাই রাজ্যপাল গেহলট মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে একটি শোকজ নোটিস দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না, তা জানিয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। এর জবাবে ক্যাবিনেট কড়া ভাষায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ভূমিকা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল। রাজ্যপালের সবুজ সংকেতের বিষয়েও শনিবার সন্ধ্যায় ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করতে একটি বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানেই সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের অসাংবিধানিক এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে হাইকোর্টে।
সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে মাইসুরু শহরের অত্যন্ত দামি এলাকায় বহুমূল্যের জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই জমি হস্তান্তর হয়েছিল শহরের একেবারে পোড়ো এলাকার একেবারে সস্তা জমির বদলে। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, এই কেলেঙ্কারির পিছনে রয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। এই কেলেঙ্কারির সুবিধা পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী। যদিও সিদ্দারামাইয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, মুডা অধিগ্রহণ না করেই অবৈধভাবে তাঁর স্ত্রীর চার একর জমির উপর একটি লেআউট তৈরি করেছিল। উল্লেখ্য, এই মুডা কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং জনতা দল সেকুলার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে।