রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট ও মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 17 August 2024 07:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে চাপে ফেলে রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট শনিবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিতর্কিত মাইসুরু নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমইউডিএ) জমি কেলেঙ্কারি তদন্তের অনুমতি দিলেন। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি যেমন অগ্রসর হয়েছিল, তেমনই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজ্যপালের যে সবুজ সংকেত প্রয়োজন তা মিলে গেল। এই খবর পাওয়ার পরেই সিদ্দারামাইয়া তাঁর সরকারি বাসভবন কাবেরীতে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী ও আইনি উপদেষ্টাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনটি ব্যক্তিগত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল গেহলট এই অনুমতি দান করেন। রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে এদিন জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত বা বিচার প্রক্রিয়ায় অনুমতি দান করেছেন রাজ্যপাল। টি জে আব্রাহাম, প্রদীপ এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণার আবেদনের ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই রাজ্যপাল গেহলট মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে একটি শোকজ নোটিস দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না, তা জানিয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। এর জবাবে ক্যাবিনেট কড়া ভাষায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ভূমিকা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল। রাজ্যপালের সবুজ সংকেতের বিষয়েও শনিবার সন্ধ্যায় ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করতে একটি বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকা হয়েছে।
সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে মাইসুরু শহরের অত্যন্ত দামি এলাকায় বহুমূল্যের জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই জমি হস্তান্তর হয়েছিল শহরের একেবারে পোড়ো এলাকার একেবারে সস্তা জমির বদলে। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, এই কেলেঙ্কারির পিছনে রয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। এই কেলেঙ্কারির সুবিধা পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী। যদিও সিদ্দারামাইয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, মুডা অধিগ্রহণ না করেই অবৈধভাবে তাঁর স্ত্রীর চার একর জমির উপর একটি লেআউট তৈরি করেছিল। উল্লেখ্য, এই মুডা কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং জনতা দল সেকুলার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে।