কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রী পার্বতী।
শেষ আপডেট: 1st October 2024 15:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতাদের কাটমানি ফেরত দেওয়ার মতো কর্নাটকের জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে বিতর্কিত জমি ফেরতের ঘোষণা করেছেন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী বিএম পার্বতী। স্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তকে মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে রাজনীতির চক্রান্তের শিকার বলে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মহিশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমইউডিএ) ১৪টি অভিজাত এলাকার জমির হাত বদলের অভিযোগ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও তাঁর স্ত্রী পার্বতীর বিরুদ্ধে।
স্ত্রীর এই চমকে দেওয়া পদক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যায় সিদ্দারামাইয়া বলেন, মুডা কেলেঙ্কারিতে তাঁর বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মিথ্যা অর্থ তছরুপের অভিযোগের অস্বস্তি ও অপদস্থ হওয়া থেকে বাঁচতে পার্বতী এ কাজ করেছেন। এদিন সাংবাদিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার জানি ওই কাজে কোনও অর্থ নয়ছয় হয়নি। আমার আইনি দল ইডির কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়বে। কিন্তু, আমার স্ত্রী এই ঘটনায় খুবই ভেঙে পড়েছে। তাই সে সব জমি ফেরত দিতে চেয়েছে। ও আসলে কোনও বিতর্ক চায় না।
এর আগে এদিনই এক এক্সবার্তায় সিদ্দারামাইয়া লেখেন, তাঁর স্ত্রী চিরকালই ঘরগৃহস্থী নিয়ে ছিলেন। আমার চার দশকের রাজনীতিতে নাক গলাননি। আমার বিরুদ্ধে যে ঘৃণার রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে, মানসিক অত্যাচার চলছে তার শিকার হয়েই পার্বতী জমি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ওর এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি।
সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে বলেন, আমার স্ত্রী ওই জমি আমার শ্যালকের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিল। কিন্তু, মুডা সেই জমি দখল করে এবং ক্ষতিপূরণ চায়। জমি দখলের পর মুডা সেই জমি বিলি করে। আমরা তখন তার পরিবর্তে অন্যত্র জমি দাবি করি। কিন্তু, আমরা মুডাকে কখনই বলিনি যে, সেই জমি বিজয়নগরেই দিতে হবে। ওরাই সেই সিদ্ধান্ত নেয়। এখন সেই বিষয়টাই বিতর্কে পরিণত হয়েছে। আর আমার স্ত্রী এই রাজনীতির শিকার হয়েছে। একইসঙ্গে কোনও অন্যায় বা তছরুপের কথা অস্বীকার করে এদিনও মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, ইডি জমির হাতবদলে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করে। তার পরপরই মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী পার্বতী মুডাকে ১৪টি জমি ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ৩.১৬ একর জমি নিয়ে বিতর্ক চলছে।