শেষ আপডেট: 6th May 2024 19:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর খানের মুকুটে যুক্ত হল নয়া পালক। শিশুদের উন্নয়নের জন্য ইউনিসেফের জাতীয় দূত হিসেবে নির্বাচিত হলেন তিনি। সারা দেশের শিশুদের উন্নয়নের জন্য জাতীয় দূত হিসাবে তিনি ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করবেন।
ভারতে ইউনিসেফের কাজকর্মের ৭৫তম বর্ষে, রাষ্ট্রসংঘের সংস্থাটি করিনা কাপুরকে তাদের জাতীয় দূত হিসাবে নিয়োগ করেছে। দেশের প্রতিটি শিশুর প্রারম্ভিক শৈশব বিকাশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং লিঙ্গ সমতার অধিকারকে এগিয়ে নিতে যেতে করিনা ইউনিসেফকে সাহায্য করবেন।
শনিবার নয়াদিল্লিতে এই সম্মান গ্রহণের পর করিনা কাপুর খান জানান যে এই পৃথিবীর শিশুদের অধিকার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। "ইউনিসেফের জাতীয় দূত হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থাটির সাথে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। আমার মতামত ও পরিচিতি ব্যবহার করে আমি দুর্বল ও বঞ্চিত শিশুদের জন্য তাদের অধিকার অর্জনের চেষ্টা করব। কারণ, যথাযথ শৈশব, ন্যায্য সুযোগ ও একটি নিশ্চিত ভবিষ্যত প্রতিটি শিশুরই প্রাপ্য।"
ইউনিসেফের সঙ্গে করিনা গত প্রায় এক দশক ধরে সেলিব্রিটি অ্যাডভোকেট হিসেবে বিভিন্ন কাজ করেছেন। তখন মেয়েদের শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, মৌলিক শিক্ষা, টিকাদান এবং শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য তিনি জোর সওয়াল করতেন। কোভিড অতিমারীর সময়, তিনি বাচ্চাদের পড়াশুনা ও বিদ্যালয় খোলার পর তাদের স্কুলে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান। করিনা #EveryChildRights ইউনিসেফের বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রচারাভিযানে বিশেষ সহায়কের ভূমিকা পালন করেছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের ভারতের প্রতিনিধি সিনথিয়া ম্যাকক্যাফ্রে বলেন, "জাতীয় দূত হিসেবে করিনা কাপুর খানকে আমরা স্বাগত জানাই কারণ শিশুদের অধিকার সুরক্ষার প্রশ্নে, তিনি বছরের পর বছর ধরে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিভিন্ন জাতীয় এবং বিশ্বব্যাপী প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণ করে তিনি এইসব কাজকর্মে শক্তি জুগিয়েছেন ও প্রভাব বিস্তার করেছেন। আরও চারজন যুব প্রবক্তা নিযুক্ত হয়েছেন এবং আমরা এঁনাদের সাথে শিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য একসাথে কাজ করব।"
ইউনিসেফ এই প্রথম ষোলো থেকে চব্বিশ বছর বয়সি যুব প্রবক্তাদের নিয়োগ করেছে। মধ্যপ্রদেশের গৌরাংশী শর্মা খেলাধূলার অধিকার ও প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ, উত্তরপ্রদেশের কার্তিক ভার্মা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও শিশু অধিকারের পক্ষে সওয়াল করার জন্য এবং আসামের নাহিদ আফরিন মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শৈশব বিকাশের বিষয়ে উৎসাহ দানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। চতুর্থজন, তামিলনাড়ুর বিনিশা উমাশঙ্কর একজন উদীয়মান উদ্ভাবক এবং মেয়েদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত শিক্ষার মতো বিষয়ে পথিকৃৎ।
এই প্রসঙ্গে, ইউনিসেফের ভারতবর্ষের প্রতিনিধি ম্যাকক্যাফ্রে আরও জানান যে গত সাড়ে সাত দশক ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই সংস্থা ভারত সরকারের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন কর্মসূচিকে সাহায্য করেছে যা থেকে লক্ষ লক্ষ শিশু এবং যুবক-যুবতীরা উপকৃত হয়েছেন। আগামীদিনে তাদের নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়তে জাতীয় দূত, যুব প্রবক্তা ও সেলিব্রিটিদের সঙ্গে তাঁদের কাজকর্ম জারি থাকবে বলে জানান ম্যাকক্যাফ্রে।
আর এক বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানাও ইউনিসেফের একজন জাতীয় দূত হিসেবে শিশুদের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন।