কঙ্গনা রনৌত ইন্দোরের যুবক রাজা রঘুবংশীর এই খুনকে নিষ্ঠুর, জঘন্য সর্বোপরি অদ্ভুত নির্বোধের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন।
ইনস্টা স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছেন, কী অদ্ভুত এই ঘটনা!
শেষ আপডেট: 10 June 2025 11:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সব কিছুতে মন্তব্য করার অভ্যাস মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে খুনের ঘটনাতেও ত্যাগ করতে পারলেন না বলি-অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। হিমাচল প্রদেশের মান্ডির লোকসভা সদস্য কঙ্গনা বরাবরই বেচাল, বেফাঁস, অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যের জন্য বিতর্কিত। এবারেও প্রকারান্তরে ইন্দোরের নববিবাহিত স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের দায়ভার সন্দেহভাজন হিসেবে ধৃত স্ত্রী সোনমের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
ইনস্টা স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছেন, কী অদ্ভুত এই ঘটনা! একটা মেয়ে বাবা-মায়ের কাছে বিয়ে করব না, একথা বলতে ভয় পায়। কিন্তু, ভাড়াটে খুনিকে দিয়ে নৃশংস খুনের ছক কষতে সে পারে। সকাল থেকে আমার মনে কেবলই এই কথাটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু, আমি কিছুতেই এটা বুঝে উঠতে পারছি না। উফ, আমার তো মাথা ধরে যাচ্ছে। মেয়েটি কি ও প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে পারত না কিংবা স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চাইতে পারত না?
কঙ্গনা রনৌত ইন্দোরের যুবক রাজা রঘুবংশীর এই খুনকে নিষ্ঠুর, জঘন্য সর্বোপরি অদ্ভুত নির্বোধের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন। নির্বোধ লোকেদের হালকাভাবে নেওয়া মোটেই উচিত নয়। সমাজের পক্ষে তারাই মাঝেমধ্যে বিরাট ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা অনেক সময় তাদের দেখে হাসি এবং ভাবি ও আমার এমন কী ক্ষতি করতে পারে! যে মানুষ বুদ্ধিমান, তারা নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন একজন বোকা মানুষ জানেই না সে কী করছে। এ রকম নির্বোধ মানুষ সম্পর্কে সাবধান থাকবেন, লিখেছেন কঙ্গনা।
উল্লেখ্য, এই খুনের বিষয়ে নানান কথা সংবাদমাধ্যমে উঠে এলেও তদন্তের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে পুলিশ। কেননা, অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী, তাঁর প্রেমিক বলে সন্দেহভাজন রাজ কুশওয়া ছাড়াও তিন-চারজন অভিযুক্তকে পুলিশ পাকড়াও করলেও কেউই সরাসরি খুনের কথা স্বীকার করেনি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলেও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসেনি। এমনকী আদালতে চার্জশিট পেশ বা খুনের মামলাও পুরোদস্তুর শুরু হয়নি। শুধুমাত্র মিডিয়া জাস্টিসের উপর নির্ভর করে একজন বিজেপি এমপি অভিযুক্তকে খুনির সহযোগী, নির্বোধ চক্রান্তকারী রূপে ঠাউরে নিলেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এভাবে মন্তব্য করেন, তাহলে অন্যদের কী হবে?
তদন্তকারী পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের পর নতুন বউ সোনম ইন্দোরে ফিরেছিলেন। শুধু তাই নয়, নিজের শহরে এসে একটি ভাড়ার ঘরে উঠেছিলেন। যেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় ‘প্রণয়ী’ রাজ কুশওয়ার। তাঁদের সাক্ষাতের পরেই একজন ড্রাইভার সোনমকে উত্তরপ্রদেশে ছেড়ে দিয়ে আসে। বারাণসী হয়ে গাজিপুরে পৌঁছান তিনি। কিন্তু, এই খুনের পর থেকেই পরতে পরতে বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন এক মোচড়। সোনমের সঙ্গে রাজের প্রণয়ের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন তাঁদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।
রাজের বন্ধু রাহুলের দাবি, রাজ দিদি বলে ডাকত সোনমকে। সোনমদিদির কাছে ১-২ বার রাখিও পরেছিল রাজ কুশওয়া। আমরা বিশ্বাস করি না, আমাদের বন্ধু একাজ করে থাকতে পারে। একই দাবি করেছেন রাজ কুশওয়ার বোন। তাঁর বক্তব্য, আমার ভাই একাজ করেনি। রাজকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। সোনমের সঙ্গে রাজের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের ওর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হবে কী করে? ভাই তো ওকে দিদি বলে ডাকত। দুজনের মধ্যে মালকিন-নওকরের সম্পর্ক।